কাপাসিয়ায় ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, দেড় লাখ টাকায় রফাদফার চেষ্টা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৫৬ পিএম, ৩১ আগস্ট,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০৩:২৬ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। ধর্ষক প্রভাবশালী হওয়ায় এবং ঘটনা প্রকাশ পেলে ওই শিশু ও তার পিতাকে প্রাণ নাশের হুমকি দেওয়ায় প্রায় আড়াই মাস যাবৎ গোপনে চিকিৎসা করার পরও শিশুটি সুস্থ হয়নি। এমনকি পাশবিক নির্যাতনের শিকার ওই শিশুর পরিবারকে চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণ বাবদ ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা প্রদানের পর শালিশিয়ানরা ওই টাকাও ফেরত নিয়ে নেয়। অবশেষে গত ২৯ আগস্ট রোববার রাতে ওই শিশুর পিতা কাপাসিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, উপজেলার সিংহশ্রী ইউনিয়নের পশ্চিম বড়িবাড়ি গ্রামের ওই শিশু গত ১৭ জুন দুপুরের দিকে বাড়ির পাশে আম কুড়াতে যায়। এ সময় একই এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে তিতাস (১৬) তার কাছে গিয়ে একটি চাকু বের করে ভয় দেখিয়ে পাশের জঙ্গলে নিয়ে যায় এবং হাত পা রশি দিয়ে বেঁধে ধর্ষণ করে এবং এ ঘটনা প্রকাশ করলে ওই শিশু ও তার পিতাকে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়।
পরে শিশুটি রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরে যায় এবং রাতের তার মা গার্মেন্টস থেকে বাড়ি ফিরে মেয়েকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় পেয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে সব খুলে বলে। পরে স্থানীয় ডাক্তারের কাছ থেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ না হওয়ায় গত ২২ আগস্ট কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
বিষয়টি স্থানীয় পর্যায়ে জানাজানি হলে তিতাস ও তার পরিবারের লোকজন ওই শিশুর বাড়িঘর বাঁশ দিয়ে বেড়া দিয়ে আটকে রাখে। পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সহায়তায় বেড়া সড়িয়ে নেওয়া হয় এবং শিশুর পরিবারকে চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণ বাবদ ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয় এবং ১০০ টাকার চারটি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেওয়া হয়। কিন্তু রহস্যজনক কারণে একদিন পরে শালিশিয়ান সাহজাহান, মোস্তফা কামাল, আবুল হোসেন, ওয়াজ কুরুনী ও স্থানীয় ইউপি সদস্য ওই স্ট্যাম্প ও পুরো টাকা ফেরত নিয়ে নেয়।
এ বিষয়ে শালিশিয়ান সাহজাহান জানান, তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না এবং পূর্ব শত্রুতার জেরে তার নাম উল্লেখ করে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।
কাপাসিয়া থানার ওসি মোঃ আলম চাঁদ জানান, এ বিষয়ে তিনি একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন এবং বিষয়টি তদন্তের জন্য পরিদর্শক তদন্ত মোঃ মনিরুজ্জামান খানকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।