না’গঞ্জের ফতুল্লায় একই রাতে দুই গামেন্ট কর্মী ধর্ষণের শিকার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৫০ পিএম, ২৯ আগস্ট,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০৭:৩৬ এএম, ২৩ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় খিচুড়ির সাথে চেতনানাশক ঔষধ মিশিয়ে অচেতন করে একই রাতে গার্মেন্টস কর্মী দুই বান্ধবীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে সাবলেট ভাড়াটিয়া দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে।
আজ রবিবার দুপুরে ধর্ষক দেলোয়ার হোসেন (২৮) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এর আগে ধর্ষণের শিকার গার্মেন্টস কর্মী বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় ধর্ষণের অভিযোগ এনে গ্রেফতারকৃত দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। গ্রেফতারকৃত দেলোয়ার হোসেন রংপুর জেলার কাউনিয়া থানার বলব বিশু গ্রামের মোঃ ফজলুল হকের পুত্র ও ফতুল্লা থানার হাজীগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা সড়কের মান্নানের বাড়ীর ভাড়াটিয়া।
মামলায় উল্লেখ্য করা হয় যে, বাদী ও তার এক বান্ধবী মদিনা নিটকন চাঁন গ্রæপের একটি গার্মেন্টসে কর্মরত রয়েছে। গ্রেফতারকৃত দেলোয়ার হোসেন তার স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে ফতুল্লার হাজীগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা সড়কের মান্নানের বাড়ীতে ভাড়ায় বসবাস করতো। সাবেলেট হিসেবে বাদী ও তার বান্ধবী গ্রেফতাকৃতের পরিবারের সাথে বসবাস করতো।
গত সাত দিন পূর্বে গ্রেফতারকৃত দেলোয়ার হোসেনের সাথে তার স্ত্রী'র ঝগড়া হয়। এতে করে দেলোয়ারের স্ত্রী রাগ করে বাসা থেকে চলে যায়। ফলে বাসায় সে একা থাকতো। বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) রাত ১১ টার দিকে বাদী এবং তার বান্ধবী কাজ শেষ করে বাসায় ফিরে আসে। ঘরে থাকা রান্না করা খিচুড়ী খেয়ে ঘুমিয়ে পরে। কিন্তু বাসায় একা থাকার সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে তাদের রান্না করা খিচুড়ীতে পূর্বেই চেতনাশক ঔষধ মিশিয়ে রাখে।যার ফলে খিচুড়ী খাওয়ার সাথে সাথেই তারা গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পরে। এই সুযোগে লম্পট দেলোয়ার তাদের দুই বান্ধবীকে তাদের অজ্ঞাতসারে ধর্ষণ করে।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানা ইনচার্জ রকিবুজ্জামান জানান, অভিযুক্ত ধর্ষক দেলোয়ার কে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তরণী দুটিকে পরীক্ষার জন্য শহরের জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।