রৌমারীতে ভূয়া কাজির দৌরাত্ম্য-বাল্যবিয়ের হিড়িক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:২৭ পিএম, ২৯ আগস্ট,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ১২:১৩ এএম, ২১ সেপ্টেম্বর,শনিবার,২০২৪
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নে ভূয়া কাজির ছত্রছায়ায় দীর্ঘদিন যাবৎ বাল্য-বিয়ের হিড়িক পরার অভিযোগ উঠেছে। এতে সমালোচনার ঝড় উঠেছে এলাকাজুড়ে। প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে লিখিত অভিযোগ করেও তেমন সারা না পাওয়ায় হাই হুতাশে পরেছে এলাবাসি। ওই ভুয়া কাজী রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের বকবান্দা নামাপাড়া গ্রামের মৃত আসমত আলীর ছেলে আশরাফুল ইসলাম (৫৭)।
এলাকাবাসির অভিযোগ, গত ১বছরে প্রায় ৪০টি বাল্যবিবাহ রেজিষ্ট্রি করেছেন তিনি। এর মধ্যে তার নিজেরও অষ্টম শ্রেণী পরুয়া কন্যা আফছানা রয়েছে। সব চেয়ে বেশী আলোচনায় আসে বকবান্দা নামাপাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যায়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী রোজিনা খাতুন, ৭ম শ্রেণীর মোছা. সুলতানা, সোনিয়া আক্তার, মিম আক্তার, খাদিজা আক্তার, ৮ম শ্রেণীর মোছা. আফছানা, মোছা. নূরিমা খাতুন, মোছা. সাবনুর, ৯ম শ্রেণীর মোছা. রাজিয়া খাতুন, মোছা. বীথি খাতুন, মোছা. জেসমিন আক্তার, ১০ম শ্রেণীর মোছা. সাদিয়া আক্তার। অভিযোগে আরও জানা যায়, ওই ভূয়া কাজির কাছে কোন জাতীয় সনদ পত্র লাগেনা। ফলে অবিভাবকদের কোন বেগ পেতে হয় না। এই সুযোগে ভূয়া রেজিষ্ট্রি বইয়ে বিবাহ নিবন্ধন করেন তিনি। বিভিন্ন জনকে ম্যানেজ করতে হবে বলে হাতিয়ে নেন মোটা অংকের টাকা।
এবিষয়ে যাদুরচর ইউনিয়ন কাজি আব্দুস ছবুর বলেন, এই ভূয়া কাজির সংবাদ পেয়ে আমার ইউনিয়নে মাইকিং করে জানিয়ে দিয়েছি আমি ছাড়া অন্য কোন কাজি নেই যাদুরচর ইউনিয়নে। তারপরেও মানুষ কেন তার কাছে বিবাহ নিবন্ধন করে বুঝিনা। আমি ওই ভুয়া কাজির নাম ঠিকানা পেয়েছি। রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিব।
এব্যপারে রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল ইমরান বলেন, এঘটনার একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে মর্মে আশ্বাস প্রদান করেন।