না’গঞ্জে সেই এসপি মোক্তার হোসেনের সন্ত্রাসী ভাই ও তার দুই ছেলে গ্রেফতার

নারী পুলিশ কর্মকর্তার দায়ের করা ধর্ষণ মামলার আসামী পুলিশ সুপার (পিবিআই) সেই মোক্তার হোসেনের সন্ত্রাসী ছোট ভাই আক্তার হোসেন ও তার দুই ছেলেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো ফতুল্লা থানার রামারবাগ এলাকার মৃত সুলতান মৌলভীর পুত্র আক্তার হোসেন (৫০) ও তার দুই পুত্র আজিম (২৫) ও নিরব (২২)।

গতকাল বুধবার রাতে থানার রামারবাগ এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আদালতে দায়ের করা মামলায় উল্লেখ করা হয়, ফতুল্লার রামারবাগ এলাকায় ৩০ মে রাত ১০টায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আক্তার হোসেন ও তার দুই ছেলেসহ ৮/৯ জন মিলে আবুল হোসেনের ছেলে আমজাদ হোসেন রুবেল ও তার চাচাতো ভাই মোর্শেদ কামাল ফয়সাল এবং জান্নাতুল নাঈমকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করেন। এসময় তাদের কাছ থেকে মোবাইল ও পকেট থেকে টাকা পয়সা লুটে নেয়। ওইসময় আশপাশের লোকজন এসে রুবেল, ফয়সালও নাঈমকে উদ্ধার করে শহরের ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে দুইজনকে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হলেও নাঈমকে রাজধানীর মিডফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করার জন্য ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল থেকে প্রেরন করেন। চিকিৎসা শেষে তারা স্থানীয় ভাবে আপোষ মিমাংসার জন্য আক্তারকে গন্যমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে ডাকেন। কিন্তু আক্তার কাউকে পাত্তা না দিয়ে স্থানীয় লোকজনদেরও তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করেন। এতে আপোষে ব্যর্থ হয়ে রুবেল ২৪ আগষ্ট আদালতে মামলা দায়ের করেন।

এ ব্যাপারে বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি রকিবুজ্জামান জানান, আদালতে নির্দেশে থানায় মামলা গ্রহন করে ৩জনকে গ্রেফতার করে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, এসপি মোক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে ১২ আগস্ট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহারের আদালতে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়েরের আবেদন করেন এক নারী পুলিশ পরিদর্শক। স্থানীয়রা জানান, বড় ভাই পুলিশ সুপার মোক্তার হোসেনের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে ছোট ভাই আক্তার হোসেন এলাকায় সমাজ বিরোধী নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ডের জন্ম দিয়ে এলাকায় প্রভাববিস্তার করে চলতো। তার ভয়ে কেউ মুখ খুলতো না।