ধর্ষণ মামলার আসামির পলায়ন, সোনাইমুড়ী থানার ওসি-তদন্ত বরখাস্ত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৫৪ পিএম, ২৫ আগস্ট,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০২:২৩ পিএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
শৃঙ্খলাবিরোধী কার্যকলাপ, কর্তব্যে অবহেলা ও গাফিলতির অভিযোগে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থানার ওসি (তদন্ত) জিসান আহমেদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) রাতে বাংলাদেশ পুলিশ ইন্সপেক্টর জেনারেল ড. বেনজীর আহমেদের এক আদেশে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে বরিশাল রেঞ্জে ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়।
নোয়াখালী পুলিশ সুপার (এসপি) শহীদুল ইসলাম বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন।
উল্লেখ্য, গত ১৮ আগস্ট বিকাল পৌনে ৪টার দিকে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থানার ধর্ষণ মামলার দুই আসামি পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানা এলাকার হাইওয়ে রোডের আল মদিনা হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট থেকে পালিয়ে যায়।
ওই দিন আদালতের নির্দেশে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য ধর্ষণ মামলার দুই আসামি ও ভিকটিমকে ঢাকার মালিবাগ সিআইডিতে নিয়ে যায় সোনাইমুড়ী থানা ওসিসহ (তদন্ত) একদল পুলিশ। এর পর ফেরার পথে বিকাল পৌনে ৪টার দিকে মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া এলাকার হাইওয়ে এলাকায় আল মদিনা হোটেলে তারা দুপুরের খাবার খেতে যাত্রা বিরতি দেয়।
একপর্যায়ে আসামিরা পুলিশ পাহারায় টয়লেটে প্রবেশ করে। পরে দুই আসামি টয়লেটের জানালা ভেঙে পালিয়ে যায় বলে দাবি করছে পুলিশ।
পালিয়ে যাওয়া আসামিরা হলো— সোনাইমুড়ীর বাট্টা গ্রামের মুজামিয়া বেপারি বাড়ির মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে মো. জুয়েল (২৬) ও বগাদিয়া গ্রামের সওদাগর বাড়ির মৃত মো. আবদুল লতিফের ছেলে মো. দেলোয়ার হোসেন (৩০)। পরে পুলিশ পুনরায় পালিয়ে যাওয়া এক আসামিকে গ্রেফতার করে।
এ ঘটনায় ওই দিনই তাৎক্ষণিক তিন পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়। তারা হলেন— নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফারুক হোসেন, কনস্টেবল আব্দুল কুদ্দুস ও নারী কনস্টেবল আসমা আক্তার।
এ ছাড়া পরিদর্শক (তদন্ত) জিসান আহম্মেদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চট্টগ্রাম রেঞ্জ অফিসকে অবহিত করা হয়েছে।