হাতকড়াসহ টয়লেটের ভেনটিলেটর দিয়ে পালানো আসামি গ্রেফতার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৫৬ পিএম, ১৯ আগস্ট,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০৭:২৯ এএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থানা পুলিশের কাছ থেকে হাতকড়া পরা অবস্থায় পালিয়ে যাওয়া ধর্ষণ মামলার আসামি মো. দেলোয়ার হোসেনকে (২৮) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গতকাল বুধবার (১৮ আগস্ট) দিবাগত রাত ২ টায় ঢাকার কামরাঙ্গীরচর থানা পুলিশের সহায়তায় গ্রেফতার করা হয়েছে। বর্তমানে সে কামরাঙ্গীরচর থানা হেফাজতে আছে।
গ্রেফতারকৃত মো. দেলোয়ার হোসেন সোনাইমুড়ী উপজেলার বজরা ইউনিয়নের বগাদিয়া গ্রামের সওদাগর বাড়ির মৃত আবদুল লতিফের ছেলে।
গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, হাতকড়াসহ পালিয়ে যাওয়া মো. দেলোয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে বর্তমানে কামরাঙ্গীরচর থানা হেফাজতে আছে। পালিয়ে যাওয়া আরেক আসামি মো. জুয়েলকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত থাকবে। পালিয়ে যাওয়া আসামিদের বিরুদ্ধে মুন্সীগঞ্জের গাজারিয়া থানায় মামলা রুজু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সোনাইমুড়ি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জিসান আহাম্মদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য চট্টগ্রাম রেঞ্জ অফিসকে অবহিত করা হয়েছে।
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পুলিশ সদস্যরা হচ্ছেন, সোনাইমুড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফারুক হোসেন, কনস্টেবল আব্দুল কুদ্দুস ও নারী কনস্টেবল আসমা আক্তার।
অন্য দিকে এ ঘটনায় নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) দীপক জ্যোতি খীসাকে আহবায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রতিবেদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
প্রসঙ্গত, ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতারের পর ডিএনএ নমুনা দিয়ে ঢাকা থেকে ফেরত আসার সময় মো. জুয়েল ও দেলোয়ার হোসেন নামে দুই আসামি মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানা এলাকার হাইওয়ে রোডের পাশের আল মদিনা হোটেল এন্ড রেষ্টুরেন্টের টয়লেটের ভেনটিলেটর দিয়ে হাতকড়াসহ পালিয়ে যায়।
পুলিশ জানায়, ধর্ষণ মামলায় আদালতের নির্দেশে এজাহারনামীয় জেল হাজতের আসামি মো. জুয়েল ও মো. দেলোয়ার হোসেনের ডিএনএ পরীক্ষা করানোর জন্য গতকাল সকালে ঢাকার মালিবাগের সি আই ডি অফিসে নেওয়া হয়। ডিএনএ নমুনা দেওয়ার পর ঢাকা থেকে ফেরার পথে মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানা এলাকার হাইওয়ে রোডের পাশে আল মদিনা হোটেল এন্ড রেষ্টুরেন্টে ভাত খাওয়া শেষে আসামিরা টয়লেটে যাওয়ার কথা বলে। এসময় আসামিরা পুলিশ পাহারায় টয়লেটে প্রবেশ করে এবং দরজার সামনে পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) জিসান আহম্মেদ ও কনস্টেবল আব্দুল কুদ্দুস পাহারায় থাকে। আসামিদের টয়লেট হতে বের হতে বিলম্ব দেখে টয়লেটের দরজা ধাক্কা দিয়ে দরজা খুলে দেখতে পায় আসামিরা টয়লেটের পিছনের ভেনটিলেটর ভেঙ্গে পালিয়ে গেছে।