তজুমদ্দিনে অজ্ঞাত রোগে ঝরে পড়ছে মাল্টা, ক্ষতিগ্রস্ত চাষি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:২২ পিএম, ১৯ আগস্ট,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০২:২৩ পিএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
মাল্টা চাষ করে গত বছর খুব ভালোই ছিলেন ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার যৌথ চাষি মোঃ ফরহাদ হোসেন ও তার ভগ্নিপতি মোঃ নুরনবী। আড়ালিয়া গ্রামে এই মাল্টা চাষিরা তিনশত গাছ দিয়ে চাষ শুরু করে গত বছর ভালোই আয় করেছিলো। কিন্তু এ বছর অজ্ঞাত কারণে মাল্টাগুলি ঝরে যাওয়ায় চাষিরা পড়েছেন ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্তের মধ্যে।
বেকার যুব ফরহাদ ও তার প্রবাসী ভগ্নিপতি নুরনবী মিলে ২০১৮ সালে প্রথমে ৮৮ শতাংশ জমিতে মাল্টা চাষ শুরু করেন। ২০২০ সালে এই বাগান থেকে ২লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মাল্টা বিক্রি করে ভালো টাকা আয় করে। তাদের দেখা দেখি অনেকেই মাল্টা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছিলেন। পরে তারা আরো ১৫২ শতাংশ জমিতে মাল্টা বাগান করেন। যেটাতে এখনো ফলন শুরু হয়নি।
এ বছর গাছে ফলনও ভালো হয়। আশা ছিলো গত বছরের তুলনায় এ বছর আয় দ্বিগুণ হবে। কিন্তু তাদের সব আশা ধূলিসাৎ করে দেয় অজ্ঞাত রোগে। অজ্ঞাত রোগে প্রতিদিন প্রচুর মাল্টা ঝরে যায়। শত চেষ্টা করেও ঝরে পড়া রোধ করতে পারছেনা। তাদের দাবী মাল্টা পাকতে আরো একমাস সময় লাগবে। ততদিনে হয়ত গাছের সব মাল্টাই ঝরে যেতে পারে। আর এতে করে চাষিরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হলে মাল্টা চাষে আগ্রহ হারাতে পারে তারাসহ অন্য আগ্রহীরা।
ফরহাদের প্রতিবেশীরা জানান, এই বাগানের মাল্টা অনেক বড় ও সুস্বাদু মিষ্টি। অজ্ঞাত রোগে এবছর মাল্টা ঝরে যাওয়ায় চাষিরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। আমরা ২০২০ সালেও এ বাগান থেকে মাল্টা কিনেছি।
চাষি ফরহাদ হোসেন জানান, মাল্টা চাষ করে ২০২০ সালে আমাদের ভালোই লাভ হয়েছিলো। কিন্তু এ বছর অতিমাত্রায় খরা ও অজ্ঞাত রোগে মাল্টাগুলি ঝরে পড়ে যাওয়ায় আমরা ব্যাপক একটা ক্ষতির মধ্যে পড়েছি। সরকার বা কৃষি বিভাগ আমাদের প্রতি একটু সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিলে ক্ষতি পুষিয়ে আমরা আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারতাম।
জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অপূর্ব লাল সরকার ক্ষতিগ্রস্থ মাল্টা চাষিকে সব ধরনের সহযোগীতার আশ্বাস দিয়ে বলেন, গত বছর বাগানটি বর্ষার পানিতে ডুবে যাওয়ায় মাল্টাগুলি ঝরে থাকতে পারে। তবে নিয়মিত বাগান পরিচর্যা ও পরিমিত সার ঔষধ প্রয়োগেই পারে মাল্টা ঝরে পড়া রোধ করতে। ক্ষতিগ্রস্থ চাষিকে নিয়মিত প্রযুক্তিগত সহায়তা করা হবে।