ময়মনসিংহে পাঁচদিন ধরে পানিবন্ধি ১৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা, ভোগান্তি চরমে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৫০ পিএম, ১০ আগস্ট,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০৮:০৯ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
ময়মনসিংহ সিটি করর্পোরেশনের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কয়েক হাজার বাসিন্দা টানা পাঁচদিন ধরে পানিবন্ধি হয়ে দূর্ভিসহ জীবন-যাপন করছেন। এতে ভোগান্তির চরম পর্যায়ে রয়েছে স্থানীয়দের দৈনন্দিন জীবন।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে ড্রেনেজ ব্যবস্থা সংস্কার না হওয়ায় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। তবে সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ বলছেন, বিষয়টি দুঃখজনক। কিন্তু বর্ষা শেষ না হলে ড্রেন সংস্কারে কাজ শুরু করা সম্ভব নয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, নগরীর ১৯ নং ওয়ার্ডের আলিয়া মাদ্রাসা রোড থেকে মড়ল পাড়া হয়ে বলাশপুর মোড় পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার সড়ক। এ সড়কে প্রত্যাহ যাতায়াত করতে হয় স্থানীয় কজয়েক হাজার বাসিন্দাদের। কিন্তু প্রবল বর্ষণে গত পাঁচদিন ধরে এই সড়কটি প্রায় হাঁটু পানির নিচে তলিয়ে গেছে। অনেকের বাসার মধ্যে ঢুকেছে পানি। ফলে বর্জ্য নিস্কাশনে ম্যানহোলের ময়লা পানির সাথে মিশে একাকার হয়ে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। এতে জনজীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠছে।
জানা যায়, দূর্ভোগের এসব ছবি ও ভিডিও নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রল করছেন অনেকেই। কেউ হাসির ছলে আবার কেউ ক্ষোভ ঝেঁড়ে। স্থানীয় নাজমুল আলম রাসেল নামের এক যুবক তার বাসার সামনে পানিতে কলাগাছের ভেলায় চড়ে একটি ভিডিও দৃশ্য ধারণ করে সাথে গান জুড়ে দিয়ে নিজের ফেইসবুক আইডিতে পোষ্ট করেছেন। এনিয়েও চলছে ট্রল।
ওই সড়কের মুদি ব্যবসায়ী সুলতান আহম্মেদ ও ওষুধ ব্যবসায়ী মুরাদ আহম্মেদ বলেন, যথা সময়ে ড্রেনেজ ব্যবস্থার কাজ করলে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হত না। বর্তমানে পানিবন্ধি মানুষের দূর্ভোগের পাশাপাশি ছড়িয়ে পড়ছে পানি বাহিত রোগ।
সিটি কর্পোরেশনের ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্বাস উদ্দিন মন্ডল বলেন, করোনার কারণে পূর্ব গৃহিত জলাবদ্ধতা নিরসনের কর্মসূচী গুলো বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। ফলে বলাশপুরসহ আশপাশের আরো কয়েকটি এলাকার মানুষ পানিবন্ধি হয়ে দুর্ভোগের মধ্যে আছে বলে স্বীকার করেন।
এবিষয়ে জানতে সিটি করর্পোরেশনের মেয়র ইকরামূল হক টিটুর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি একটি মিটিংয়ে ব্যস্ত থাকায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
তবে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী আনোয়ার হোসেন বলেন, চেষ্টা চলছে রাস্তা সংস্কারের পাশাপাশি ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নতকরণের। আশা করছি কাজ শুরু হলে দুর্ভোগ কমে যাবে। তবে বর্ষা শেষ না হলে ড্রেন সংস্কারে কাজ শুরু করা সম্ভব নয়।