কুষ্টিয়ায় বাঁওড়ের ৩০ লাখ টাকার মাছ হরিলুট
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৪৫ পিএম, ৫ আগস্ট,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ১১:০৩ এএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় মৎস্য বিভাগের উদাসীনতায় ৩০ লাখ টাকার মাছ লুটের অভিযোগ উঠেছে। এতে প্রান্তিক জেলেদের পথে বসার উপক্রম হয়েছে।
সূত্র জানায়, মৎস্য বিভাগের তত্ত্বাবধানে ইফাদ প্রকল্পের অধীনে উপজেলার প্রায় ২৬ হেক্টর আয়তনের কালীগঙ্গা-বাদলবাসা বাঁওড়ে সরকারি কোষাগারে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদান করে দীর্ঘদিন ধরে কালীগঙ্গা-বাদলবাসা বাঁওড় সমিতির মাধ্যমে স্থানীয় প্রায় ৬০ জন জেলে মাছচাষ করে আসছেন।
জেলেরা জানান, বাঁওড়ে মাছ ছাড়া এবং বিক্রি উভয়ই সরাসরি মৎস্য বিভাগের তত্ত্বাবধানে হয়ে থাকে। তবে মাছের পরিচর্যা, রক্ষণাবেক্ষণসহ সার্বিক বিষয় সমিতির মাধ্যমে জেলেরাই দেখাশোনা করে থাকেন।
কালীগঙ্গা-বাদলবাসা বাঁওড় মৎসজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আকমল হোসেন জানান, প্রতি বছর পাট মৌসুম শুরু হলে স্থানীয়সহ আশপাশের চাষিরা এই বাঁওড়ের জলাশয়ের পানিতে পাট জাগ দিয়ে থাকেন। তবে স্থানীয় পাটচাষিরা বাঁওড়ের পানিতে পাট জাগ দেওয়ার আগেই উপজেলা মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্দেশনা এবং উপস্থিতিতে জেলেরা মাছ ধরে তা বাজারে বিক্রি করে দেন। কিন্তু এ বছর বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও উপজেলা মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তারা প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান না করায় তারা পাট জাগ দেওয়ার আগে মাছ ধরে নিতে ব্যর্থ হন। বাঁওড়ে লাখ লাখ টাকার মাছ থাকা অবস্থায় স্থানীয়সহ আশপাশের চাষিরা এই বাঁওড়ের জলাশয়ের পানিতে পাট জাগ দেওয়ায় পানিতে অক্সিজেন সংকট দেখা দেয়। অক্সিজেনের অভাবে গত বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত তিন দিন বড় বড় রুই, কাতলা, সিলভার কার্প, গ্রাস কার্প, মিনার কার্পসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ভেসে যেতে থাকে। প্রত্যক্ষদর্শী কুমারখালী উপজেলার লাহিনী গ্রামের আবদুল গফুর বলেন, গত তিন দিন ধরে বাঁওড়ে সব মাছ পানির ওপরে ভাসতে দেখে দুই ধারের বাসিন্দারা সবাই যে যেমন পেরেছে জাল, বর্ষাসহ নানা ধরনের মাছধরা সরঞ্জাম নিয়ে পানিতে নেমে লাখ লাখ টাকার মাছ ধরেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা রবিউল ইসলাম জানান, প্রতি বছরই বাঁওড়ের পানিতে (কুষ্টা) পাট পচানোর ফলে পানিতে বিষক্রিয়া সৃষ্টি হয়।