আদমদীঘিতে রেনু পোনা বহন করে ভাগ্য বদল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:১৯ পিএম, ৩ আগস্ট,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০১:২৬ এএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
অভাব, অনটন আর দারিদ্রতাই ছিল যাদের নিত্য দিনের সঙ্গী। আজ তারা পাতিলে রেনু পোনা বহন করে ভাগ্য বদল করেছে। দরিদ্র ওই পরিবারকে আর অন্যের বাড়ীতে কামলা দিতে হয় না। এখন তারা নিজেদের কাজেই শ্রমিক খাটায়। তাদের আর অভাব,অনটর,দারিদ্রতা নেই। স্বাচ্ছন্দে চলছে সংসার জীবন। পশ্চিম বগুড়ার মাছের ভান্ডার বলে খ্যাত আদমদীঘি উপজেলায় পাতিলে মাছের রেনু পোনা বহন করে দুই হাজারের বেশী পরিবার অর্থনৈতিক ভাবে ভাগ্য বদল হয়েছে। রেনু পোনা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী রাজ্জাক, খলিল, রইচ, আলতাফ, শহিদুল, আলীমসহ অনেকই জানায়। অল্প পুঁজি খাটিয়ে পাতিলে রেনু পোনা ভরে ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, ঢাকা, টাঙ্গাইল, সিলেট, পার্বতীপুর, দিনাজপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যায়।
এ ছাড়া পাতিলে করে রেনু পোনার ভার কাঁধে বহন করে বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলের পুকুরেও পৌছায়। এতে তাদের প্রতিদিন আট শত থেকে এক হাজার টাকা আয় হয়। অনেকে সংসার খরচ করেও বাড়ীতে রঙ্গিন টিভি, ফ্রিজ, পাকাঘর করেছে। আবার কেউ কেউ রোজগারের টাকা জমিয়ে পুকুর পত্তন নিয়ে মাছের চাষ করে ভাগ্য বদল করেছে। অল্প দিনেই তারা হাজার হাজার টাকার মালিক হয়েছে। দুই হাজার লোক এ পেশায় কাজ করলেও তাদের সাথে সংশ্লিষ্ট দশ হাজারেরও বেশী পরিবার আজ স্বাবলম্বী।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার সুজয় পাল জানান,আদমদীঘি উপজেলায় ছোট বড় মিলে দু’শতাধিক মৎস্য হ্যাচারী শিল্পের পাশাপাশি মাছের ঘাটতি পূরণে এলাকার শত শত শিক্ষিত বেকার চাকুরী না পেয়ে পুকুর,ডোবা,নালায় মাছ চাষের সাথে সাথে এ ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে এবং রেনু পোনা বিক্রি ,বহন করে জীবিকা নির্বাহ করে ভাগ্য বদল করেছে।