হাতিয়ার ঘাটে শ্রমিকদের ঢল, ঝুকি নিয়ে নদী পারাপার

আগামীকাল ১লা আগস্ট থেকে কলকারখানা খোলার খবরে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার শ্রমিকরা। এক্ষেত্রে, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সামজিক দুরত্ব রক্ষার নির্দেশণা মানছেন না বা ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও মানতে পারছেন না তারা। এদিকে বৈরি আবহাওয়ার কারণে নৌ-চলাচল বন্ধ থাকায় তারা ঝুকি নিয়ে মাছ ধরার ট্রলারে নদী পার হচ্ছেন।

আজ শনিবার সকাল থেকেই হাতিয়ার নলচিরা ঘাটে শ্রমজীবী মানুষের ভীড় দেখা যায়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের ভিড় বাড়তে থাকে। 

আবদুর রশিদ নামের এক শ্রমিক বলেন, জীবীকার প্রয়োজনে জীবনের ঝুঁকি নিয়েও কর্মস্থলে যাচ্ছি। সরকার ঘোষিত ১৪ দিনের কঠোর লকডাউন চলছে। এরমধ্যে ঘোষণা হলো আগামীকাল থেকে কলকারখানা খোলা। এখন কাজে যোগ না নিলে চাকরি থাকবে না তাই বাধ্য হয়ে ঝুকি নিয়ে মাছ ধরার ট্রলারে যাচ্ছি।

আমজাদ হোসেন নামের আরেক শ্রমিক বলেন, মাছ ধরার ট্রলারে যাচ্ছি। এখানে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। আগের ভাড়া থেকে দ্বিগুন ভাড়া নিচ্ছে। আগে স্পিড বোটে ৪০০ টাকা দিয়ে যেতাম, এখন ১ হাজার টাকা নিচ্ছে। 

ঘাটের ইজারাদার ফাহিম বলেন, মালবাহী ছাড়া কোনো ট্রলার যাতায়াত করার নিয়ম নেই। ঘাট দিয়ে কোনো যাত্রী পারাপারের ব্যবস্থা নাই। হাতিয়ার চারপাশে নদী তাই কিছু মানুষ মাছের ট্রলারে যাতায়াত করছে।

হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী হাতিয়ায় সকল গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। বিভিন্ন স্থানে পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। আজ সকাল থেকে পোশাক কারখানার শ্রমিকরা নৌ-পথ পাড়ি দিয়ে নলচিরা ঘাট দিয়ে তাদের নিজ নিজ গন্তব্যে যাচ্ছে।