টানা বৃষ্টিতে নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হাতিয়া অন্ধকারে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:১২ এএম, ১ আগস্ট,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০৬:০১ পিএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
সাগরে মৌসুমি লঘুচাপের কারণে নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। দমকা হাওয়ার সঙ্গে টানা বৃষ্টিপাতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এবং অন্ধকারে রয়েছে হাতিয়াবাসী।
হাতিয়া উপজেলায় খবর নিয়ে জানা যায়, টানা বৃষ্টিপাতের কারণে সূর্যের আলো না পাওয়া সোলার অকেজো হয়ে গেছে। ফলে বিকালের পর থেকে অন্ধকারে রাত কাটাতে হচ্ছে হাতিয়াবাসীদের।
হাতিয়া উপজেলার চরঈশ্বর ইউনিয়নের বাসিন্দা আবদুল হালিম বলেন, প্রায় ৭ দিন ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। এতে দিনের বেলায় সূর্যের আলো পাওয়া যাচ্ছেনা। সন্ধ্যা হলেই অন্ধকার নেমে আসে ঘরে ঘরে। সোলার সিস্টেম অকেজো হয়ে গেছে। হ্যারিকেন এর আলো দিয়ে পড়াশোনা করতে হয় বাচ্চাদের।
হাতিয়া পৌরসভার ওছখালী বাজারের মো. ফিরোজ বলেন, বিদ্যুতের তীব্র লোড শেডিং লেগেই আছে। প্রতিদিন গড়ে দুঘণ্টাও বিদ্যুৎ থাকে না। ফ্রিজে রক্ষিত মাছ, মাংস ও জরুরী ওষুধ নষ্ট হয়ে গেছে। তার উপর সূর্যের আলো না থাকায় সোলার কাজ করছেনা।
নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের বাসিন্দা মেহরাজ হোসেন বলেন, টানা বৃষ্টি হওয়ার কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। রাস্তাঘাটে চলাচল করা যাচ্ছেনা। নিঝুম দ্বীপে জোয়ারের পানি প্রবেশ করায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে গেছে।
হাতিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মাহবুব মোর্শেদ লিটন বলেন, পুরো উপজেলায় প্রায় ৫ লাখ লোকের বসবাস। বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হওয়ায় জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুতের সঙ্গে এর কোনো সংযোগ নেই। টানা বৃষ্টি হলে এই দ্বীপে অন্ধকার নেমে আসে। সূর্যের আলো না থাকায় সোলার অকেজো হয়ে যায়। বিদ্যুতের সরকারি প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে হাতিয়ার মানুষদের অনেক উপকার হবে।
জেলা আবহাওয়া কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে উপকূলীয় এলাকায় ৩ নম্বর বিপদ সংকেত রয়েছে। আশাকরি দু এক দিনের ভেতর আবহাওয়া স্বাভাবিক হবে এবং বৃষ্টিপাত কমে যাবে।
হাতিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইমরান হোসেন বলেন, হাতিয়ায় ২ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সেবার আওতায় রয়েছে। এছাড়া বিশাল একটা অংশ বিদ্যুৎ সেবার বাহিরে রয়েছে। যারা বিদ্যুৎ পায় তারা নির্দিষ্ট কিছু সময়ের জন্য পায় । সরকার ১৫ মেগাওয়াটের একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে । প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হাতিয়াবাসি শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় আসবে বলে আশা করছি।