ফরিদপুরে কালী মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:২২ এএম, ৩০ জুলাই,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ০৩:৫৫ এএম, ১১ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
ফরিদপুরে একটি সার্বজনীন কালী মন্দিরে বিভিন্ন ধরণের বিগ্রহ ভাঙচুর করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার রাত ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে বলে মন্দির পরিচালনা কমিটি সুত্রে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায়। পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে। ফরিদপুর সদরের কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের চর কৃষ্ণনগর উত্তর পাড়া সার্বজনীন মন্দিরে এ ঘটনা ঘটে। এ মন্দিরটি ওই গ্রামের মৃত মতিলাল স্যান্যালের বাড়িতে অবস্থিত। মন্দিরটি সিমেন্টের খুঁটির সাথে টিন ও পাঠখড়ির বেড়া দিয়ে নির্মিত।
জানা গেছে, বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তখন বৃষ্টি হচ্ছিল। ওই সময় ওই এলাকার চারজন ব্যাক্তি মন্দিরে গিয়ে প্রতিমা ভাঙচুর করেন। এ সময় ওই মন্দিরের সেবায়েত বিষয়টি দেখে ফেলায় তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে ঘরের ভিতরে চলে যেতে বাধ্য করা হয়। ওই মন্দিরের সেবায়েত জানকী রানী স্যান্যাল বলেন, ওই এলাকার চার ব্যাক্তি মন্দিরে এসে ভাঙচুর করে। দুস্কৃতিরা চলে যাওয়ার পর তিনি মন্দিরে এসে দেখতে পান কালী প্রতিমার দুই হাত, শিতলা দেবীর মুখ, ডাকিনী ও যোগীনির মূর্তিগুলি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। সাথে সাথে তিনি বিষয়টি মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতিকে বলেন।
মন্দিরের সভাপতি বিমল কুমার বিশ্বাস বলেন, এ মন্দিরটি অনেক পুরনো। আগে কুমার নদের পাড়ে ছিল। ভাঙ্গনের মুখে মন্দিরটি সরিয়ে আনা হয়। মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনাটি পুলিশকে জানানোর পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ব্যাপারে তিনি এ ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িতদের আসামি করে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা বলেন, যে জায়গায় মন্দিরটি অবস্থিত ওই এলাকার বাসিন্দা লিয়াকত মোল্লা দাবি করেছেন তিনি ওই জমিটি কিনেছেন। এ নিয়ে শালিশ বৈঠকও হয়েছে। জমি কেনার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় কাগজ নিয়ে আলোচনার জন্য বসতে বলা হয়। কিন্তিু ওই বসার আগেই লিয়াকত বেড়া দিয়ে চলাচলের পথ বন্ধ করে দেয় এবং বুধবার রাতে লিয়াকত তার ছেলে ও পরিবারের সদস্যরা এ ঘটনা ঘটায়।
ফরিদপুর পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক অরুণ কুমার মন্ডল বলেন, এটি একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা। বিষয়টি উদ্বেগজনক। অবিলম্বে এ ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। মামলার প্রস্তুতি চলছে।