ভাসানচরে রোহিঙ্গা যুবকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার, গ্রেফতার ৪
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৫৭ পিএম, ২৮ জুলাই,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০৫:৫৬ এএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
নোয়াখালী ভাসানচরে মো. আবদুস শুক্কুর (২২) নামে এক রোহিঙ্গা যুবকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় এজাহারভুক্ত চার আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
নিহত আবদুস শুক্কুর ভাসানচরের রোহিংগা আশ্রয়নের ৮ নম্বর ক্লাস্টারের এল/১১-১২ নম্বর রুমের আলী মিয়ার ছেলে। আলী মিয়া বাদি হয়ে ৬ জনের নামসহ অজ্ঞাত আরও ৩-৪ জনের নামে ভাসানচর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
গ্রেফতার আসামিরা হচ্ছে, ৭ নম্বর ক্লাস্টারের এফ/৪ নম্বর রুমের হাফেজ আহম্মদের ছেলে মো. সেলিম (২০), ২৫ নম্বর ক্লাস্টারের জে/৫ নম্বর রুমের সফি উল্যাহর ছেলে ওমর হাকিম ওরফে ফারুক (১৯), ৫ নম্বর ক্লাস্টারের জে/৬ নম্বর রুমের জামাল হোসেনের ছেলে মো. কামাল (২৫) ও ৭ নম্বর ক্লাস্টারের কে/১ নম্বর রুমের মৃত আবু তালেবের ছেলে মো. রফিক ওরফে আইয়ুব (২২)।
মামলার বাদি আলী মিয়া জানান, 'গত রোববার (২৫ জুলাই) সন্ধ্যা অনুমান ৭টার সময় আসামিরা তার ছেলে আবদুস শুক্কুরকে গাছ কাটার জন্য ডেকে নিয়ে যায়। এরপর সে আর ফিরে আসেনি। পরদিন সোমবার (২৬ জুলাই) রোহিঙ্গা দিল মোহাম্মদ সাগরের ওইস্থানে মাছ ধরতে গিয়ে মরদেহটি দেখতে পায়। পরে সে মরদেহের হাতে থাকা হাতঘড়ি এনে মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) সকালে সবাইকে দেখালে মরদেহের কাছে গিয়ে আমার ছেলেকে শনাক্ত করে পুলিশে খবর দেই।'
আজ বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম।
ওসি বলেন, সংবাদ পেয়ে ভাসানচরের ৫ নম্বর চরঈশ্বর ইউনিয়নের উত্তর-পূর্ব দিকের তিন কিলোমিটার দূরে সাগরের তীর থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় নিহতের পিতা আলী মিয়া বাদি হয়ে হত্যা মামলা (নম্বর ৫) দায়েরের পর অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত চার আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামিদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
ওসি মো. রফিকুল ইসলাম আরও জানান, এ ঘটনার পর বিভিন্ন ক্লাস্টারে নজরদারী বাড়ানো হয়েছে। মামলার অপর আসামিদেরকেও গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত আছে।