ধার্য দিনে সিনহা হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ হচ্ছে না
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৪৫ এএম, ২৭ জুলাই,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০৮:০২ এএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় বাদীপক্ষের সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ হচ্ছে না। সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনের কারণে পিছিয়ে গেল পরবর্তী সাক্ষগ্রহণের তারিখ। গত ২৭ জুন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাঈল মামলাটির চার্জ গঠন করেছে। ওইদিন বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে বাদীপক্ষের সাক্ষীগ্রহণের ধার্য দিন আজ সোমবার ২৬ জুলাই থেকে ২৮ জুলাই পর্যন্ত টানা তিন দিন থাকলেও তা পিছিয়ে গেল। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনে আদালতের কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার কারণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ফরিদুল আলম চৌধুরী। পিপি ফরিদুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘গত ২৭ জুন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাঈল এ মামলার চার্জ গঠন করেন। ওইদিন বিজ্ঞ বিচারক ২৬, ২৭ ও ২৮ জুলাই মামলার বাদীপক্ষের ১০ জন সাক্ষী তাদের বক্তব্য আদালতে উপস্থাপনের কথা ছিল। কিন্তু সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনে সাক্ষীগ্রহণের দিন পিছিয়ে গেল। পরবর্তী সাক্ষগ্রহণ কখন হবে তা ভার্চুয়াল আদালত বসলে জানা যাবে। উল্লেখ্য, গত বছর ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেক পোস্টে গুলি করে হত্যা করা হয় সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানকে।
এ ঘটনায় ৫ আগস্ট তার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী মামলা করেন। পরে আদালত মামলার তদন্তভার দেন র্যাবকে। এ মামলায় ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর ওসি প্রদীপ কুমার দাসসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খায়রুল ইসলাম। গত ৬ আগস্ট প্রধান আসামি লিয়াকত আলী ও টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাসসহ ৭ পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। মামলায় গ্রেফতার ১৪ আসামিকে র্যাবের তদন্তকারী কর্মকর্তা বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তাদের মধ্যে ওসি প্রদীপ কুমার দাস ও কনস্টেবল রুবেল শর্মা ছাড়া ১২ জন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
এদিকে, সিনহা হত্যা মামলাটি বেআইনি ও অ বৈধ দাবি করে ৪ অক্টোবর মামলার প্রধান আসামি লিয়াকতের আইনজীবী মাসুদ সালাহ উদ্দিন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। কিন্তু ওই মামলার বিশেষ কোনো অগ্রগতি এখনও পর্যন্ত লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।