পূর্ণিমা ও নিম্মচাপের প্রভাবে ভোলার নিম্মাঞ্চল প্লাবিত, তলিয়ে গেছে ২০টি দ্বীপচর
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৩৪ পিএম, ২৪ জুলাই,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ১১:১৪ পিএম, ২৪ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
পূর্ণিমা ও নিম্মচাপের প্রভাবে মেঘনা ও তেতুঁলিয়ায় পানিতে ভোলার নিম্মাঞ্চল প্রবাহিত হয়েছে। এতে তলিয়ে গেছে অন্তত ২০ টি দ্বীপচর। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন অর্ধলক্ষাধিক মানুষ।
আজ শনিবার দুপুরে মেঘনা ও তেতুঁলিয়ায় পানি বিপদসীমার ৬৪ সেন্টিমিটার উপরে প্রবাহিত হয়েছে। পূর্ণিমা ও নিম্মচাপের প্রভাবে সৃষ্ট জোয়ারে পানির উচ্চতা বেড়েছে বলে জানিয়েছে ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড।
গত বৃহস্পতিবার যা ছিল বিপদসীমার ২৯ সেন্টিমিটার ও শুক্রবার ছিল ৬৫ সেন্টিমিটার উপরে। পর পর তিন দিন পানিতে প্লাবিত হলো এসব দ্বীপচর ও নিম্মাঞ্চল।
মেঘনা ও তেতুলিয়ার জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাটসসহ বিভিন্ন স্থাপনা। বিভিন্ন এলাকায় পুকুরে ও মাছের ঘেরে পানি ডুবে ভেসে গেছে মাছ।
মেঘনা ও তেতুঁলিয়ার উপকূলবর্তী চরনিজাম, কলাতলীর চর, চর যতিন, চর জ্ঞান, কুকরি মুকরি, চরমনোহর, সিকদারেরচর, ঢালচর, চর পাতিলা, মাঝের চর, চর শাহজালাল, কচুয়াখালীরচরসহ ২৫টি চর প্লাবিত হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
কুকরি-মুকরি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আবুল হাসেম মহাজন জানান, তিন দিন ধরে জোয়ারে কুকরি-মুকরি ও চরপাতিলার নিচু এলাকা তলিয়ে গেছে। অনেকে বাড়ি-ঘর রয়েছে পানিবন্দী।
ঢালচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আঃ সালাম হাওলাদার জানান, গত বৃহস্পতিবার থেকে জোয়ারের পানি বাড়তে শুরু করেছে। আজ পযর্ন্ত ঢালচরের সবকটি ওয়ার্ড প্লাবিত হয়েছে। এত প্রায় ১০ হাজার মানুষ ঢালচরে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। পানিতে ঘর-বাড়ি,ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ফসলি জমি ও পুকুর ঘের তলিয়ে গেছে।
কচুয়াখালী এলাকার মোঃ জসিম বলেন, অতি জোয়ারের পানির কারণে মানুষ চর এলাকার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বেশির ভাগ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
তিন দিন ধরে স্বাভাবিকের চেয়ে পানির চাপ অনেক বেশি হওয়ায় এলাকার অনেক ঘর-বাড়ি ও দোকানপাট তলিয়ে গেছে। গত তিন দিন ধরে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এসব এলাকার মানুষের।
ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাসানুজ্জামান বলেন, পূর্ণিমা ও নিম্মচাপের প্রভাবে মেঘনা ও তেতুঁলিয়ার পানি বিপদ সীমায় প্রবাহিত হওয়ায় নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।