প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর, টাকা দিলেই মেলে ইট, বালু, সিমেন্ট
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৩৪ পিএম, ৮ জুলাই,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০৫:৫২ এএম, ২১ সেপ্টেম্বর,শনিবার,২০২৪
কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলা দামিহা পশ্চিম পাড়া গ্রামের গেয়াস উদ্দিন প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে খুশি হলেও চক্রবৃদ্ধি হারে ৩৫ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে তাকে তৈরি করতে হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহারের ঘর।
জানা গেছে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহার ঘর দুস্থদের জন্য বরাদ্দকৃত। এ ঘর তৈরির জন্য সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে তাড়াইল উপজেলা পিআইও অফিসের প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা অফিস কর্তৃক বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলা দামিহা গ্রামের পশ্চিম পাড়া সুবিধাভোগী মোছাঃ সালমা আক্তার, বলেন আমি সহ আরো তিন জন ২শতক জমি সরকারের বরাবর দলিল রেজিস্ট্রি করে দেওয়ার পর সরকার হতে আমরা প্রধানমন্ত্রীর উপহারস্বরূপ পাকা ভিটিসহ থাকার ঘর বরাদ্দ পাই।
ঘরের যাবতীয় কাজ সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত সুবিধাভোগীদের নিকট হতে কোন প্রকার অর্থ খরচের বিধান না থাকায় সত্বেও তাড়াইল উপজেলা প্রকল্প অফিসের কার্য সহকারী হারুন অর রশিদ বিভিন্ন সময়ে কৌশল অবলম্বন করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে, টাকা না দিলে মেলেনা ঘরের ইট, বালু, সিমেন্ট।
তিনি আরো বলেন, আমি সহ আরও তিনজনের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে এবং সিমেন্ট আনতে গেলে টাকা দিতে হয়, লোহা, কাঠ, ইট, বালু ও যাতায়াত খরচ দিতে হয় তাছাড়া রাজ মিস্ত্রি শ্রমিকদের দুই বেলা খাবারের ব্যবস্থা করার জন্য নির্দেশ দেয় ওই অফিসের হারুন অর রশিদ। আমরা তার কথা মত কাজ না করলে, এই বরাদ্দকৃত ঘর কেটে দিবে বলে হুমকি দেয়। তাই আমরা গরিব মানুষ কি করবো চক্রবৃদ্ধি হারে ৩৫ হাজার টাকা ঋণ করে এখনো কাজ শেষ করতে পারি নাই।
তাড়াইল উপজেলা পিআইও শহিদুল ইসলাম কিশোরগঞ্জ সদর ও তাড়াইলের অতিরিক্ত দায়িত্বে আছেন। তিনি বলেন (ক) শ্রেণীর ঘরের সকল খরচ সরকার বহন করবে, এছাড়া কোন খরচ নেই, কেউ যদি টাকা নিয়ে থাকে তাহলে তদন্ত পূর্বক তার ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এই বিষয়ে তাড়াইল উপজেলা নির্বাহি অফিসার তারেক মাহমুদ দিনকাল কে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহার ঘর সবকিছু সরকারের এখানে ভুক্তভোগীদের অতিরিক্ত কোন খরচ নেই, এ বিষয়ে ভুক্তভোগী লিখিত অভিযোগ করলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।