ঈদে গার্মেন্টে ছুটি পর্যায়ক্রমে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৪০ এএম, ৪ জুলাই,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০৫:১১ পিএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
গণপরিবহন ঈদের সময় বন্ধ রাখলে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি বাড়বে। ভেঙে ভেঙে বিভিন্ন যানবাহনে গাদাগাদি করে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে গমনাগমন করতে হবে। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকি আরও বেড়ে যেতে পারে। এ জন্য গার্মেন্ট ও শিল্প-কারখানার শ্রমিকদের ছুটি পর্যায়ক্রমে দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা, শিল্পাঞ্চলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে করণীয় ও প্রাসঙ্গিক বিষয়ে এক সভায় তিনি এই অনুরোধ জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে সভায় পুলিশ পরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, কোভিড-এর কারলে গত ঈদুল ফিতরের সময় তিনদিন ছুটি দেয়া হলো যাতে মানুষ ঢাকা থেকে গ্রামমুখী না হয়। সে জন্য সড়ক ও মহাসড়কে বাধা প্রদান করা হলেও ঈদের ছুটিতে নিজ গ্রামের বাড়িতে মানুষের যাতায়াত বন্ধ করা সম্ভব হয় নাই। তাই মানুষের নিরাপদ গমনাগমনের জন্য সিদ্ধান্ত নেয়া প্রয়োজন। আমাদের অনেক রাস্তার সংস্কার কাজ চলছে এবং বর্ষার মৌসুমে এমআরটির নির্মাণকাজ চলতে থাকলে ঢাকা-টঙ্গী, গাজীপুর সড়কে যান চলাচল দুর্বিষহ হয়ে পড়বে। টঙ্গী-গাজীপুর প্রধান সড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। গর্তগুলোকে শুধু ইট দিয়ে অস্থায়ীভাবে মেরামত না করে টেকসই মেরামত প্রয়োজন। এছাড়া গত বছর কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ীর অব্যবস্থাপনার কারণে চামড়ার ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় সাধারণ মানুষ কোরবানির চামড়া মাটিতে পুঁতে ফেলেছে।
সভায় জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব বলেন, কোরবানির পশু পরিবহন, চামড়া পাচার রোধ, মলম পার্টি, জাল টাকার বিস্তার রোধ এবং ঘরমুখো মানুষের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অধিকতর গুরুত্ব দিতে হবে। বর্তমান কোভিড-১৯ ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ অত্যধিক। তাই পশুর হাটের পাশাপাশি অনলাইনে ক্রয়-বিক্রয়কে উৎসাহ দিতে হবে।
সভায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কোভিড-এর কারণে চলমান বিধিনিষেধে পণ্যবাহী ও পশুবাহী যানবাহন চলাচলে কোনো নিষেধাজ্ঞা থাকবে না। প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত ও মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে গবাদিপশু প্রবেশ সম্পূর্ণ বন্ধ রাখতে হবে।
সচিব শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় জানান, শিল্প শ্রমিকদের বেতন-ভাতা মনিটরিংয়ের জন্য ২৩টি কমিটি করা হয়েছে। ধর্মসচিব জানান, ঈদুল আজহায় সরকার জারিকৃত স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে মসজিদে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে নামাজ আদায় করতে হবে। ঈদুল ফিতরের ন্যায় সকল মুসল্লিকে বাসা থেকে অজু করে নিজ নিজ জায়নামাজ নিয়ে আসতে হবে। বিকেএমইএ সভাপতি বলেন, ঈদুল ফিতরের ন্যায় এবারও শ্রমিকদের বেতন-ভাতায় সমস্যা হবে না। গত ঈদে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় দুই থেকে তিনগুণ ভাড়া দিয়ে যাতায়াত করেছে। এর ফলে মানুষ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ও স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছে। তাই ঈদযাত্রায় ঘরমুখো মানুষ যেন সুষ্ঠুভাবে তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে সে লক্ষ্যে ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চলাচল রাখা প্রয়োজন।