ব্রাহ্মণবাড়িয়া কারাগারে হাজতির মৃত্যু, ধারণক্ষমতার চেয়ে তিন গুণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:২৮ এএম, ২৬ জুন,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ১০:৫৫ পিএম, ২৩ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে ধারণক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত কয়েদি রাখা হয়েছে। এতে অতিরিক্ত গরম এবং উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়া (৪৯) নামে এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় কয়েদির চাপ সামলাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগার থেকে হাজতিদের কুমিল্লা জেলা কারাগারে স্থানান্তর করার কাজ শুরু হয়েছে।
আজ শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সুপার মো. সুপার ইকবাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কারাগারে হাজতি ধারণক্ষমতা রয়েছে ৬০০। বর্তমানে কারাগারে হাজতির সংখ্যা রয়েছে ১ হাজার ৯৫০ জনের মতো। অর্থাৎ ধারণক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত কয়েদি রাখা হয়েছে। এ অবস্থায় বর্তমান করোনাকালে ঝুঁকির আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।
পরিস্থিতি সামলাতে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে কিছু কয়েদি কুমিল্লা জেলা কারাগারে স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে ১৫ জন কয়েদিকে কুমিল্লা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্য কয়েদিদের কুমিল্লা স্থানান্তর করা হবে। তিনি জানান, এখন পর্যন্ত জেলখানার ভেতরে করোনা পরিস্থিতি ভালো রয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাবুল (৪৯) নামের এক সাজাপ্রাপ্ত কয়েদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে অসুস্থ অবস্থায় কুমিল্লা নিয়ে যাওয়ার পথে রাত সাড়ে ১০টার দিকে তিনি মারা যান। তিনি ৫ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি হয়ে কারাগারে কয়েদি হিসেবে ছিলেন। বাবুল মিয়ার বাড়ি জেলার কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের বায়েক গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মালেক মিয়ার ছেলে।
তার মৃত্যু সম্পর্কে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জামাল ভূঁইয়া বলেন, রোগী উচ্চ রক্তচাপে ভুগছিলেন। তার প্রেশার অনেক বেশি ছিল। কুমিল্লায় উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হলে সেখানে নেয়ার পথে ওই রোগী মারা যায়।
গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের তান্ডবের ঘটনায় মোট ৫৬টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় অন্তত সাড়ে পাঁচ শতাধিক আসামি কয়েদি হিসেবে কারাগারে বন্দি অবস্থায় রয়েছেন।