না’গঞ্জের বন্দরে ৬ঘন্টার ব্যবধানে দুই আত্মহত্যা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০৩ পিএম, ২৩ জুন,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০৪:৫১ পিএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় ৬ঘন্টার ব্যবধানে পৃথক ২টি স্থানে দুইটি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। গত সোমবার রাতে ও মঙ্গলবার ভোরে বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নস্থ কল্যান্দি ও বন্দর ইউনিয়নের বালুচর এলাকায় এ দুটি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। আত্মহনন কারীরা হলেন, বন্দরের জিওধরা এলাকায় প্রবাসী স্বপন মিয়ার স্ত্রী মুন্নি (২৫) বালুচর এলাকার জয়নাল আবেদীন মিয়ার ছেলে মোঃ ইব্রাহিম পাবেল (৩২)।
এলাকাবাসি জানিয়েছে, বন্দর উপজেলা কলাগাছিয়া ইউনিয়নস্থ জিওধরা এলাকায় স্বপন শেখের স্ত্রী মুনি শেখ ১৩দিন পূর্বে তার ৬বছরের একটি পুত্র সন্তানসহ কল্যান্দী এলাকার নার্গিস বেগমের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছিল। এর পূর্বে মুন্নীর স্বামী মুন্সিগঞ্জ সদর এলাকার স্বপন শেখের সাথে বনিবনা হচ্ছিলনা। তাই দুই বছর পূর্বে পারিবারিক কলহে স্বামীর বিরোদ্ধে মামলাও করে মুন্নী। পরে মুন্নী তার পুত্রসন্তান নিয়ে বন্দর জিওধরা তার পিত্রালয়ে চলে আসে। পরে মঙ্গলবার ভোরে সকলের অগোচরে নিজ ঘরে সিলিং ফ্যানের পাখার সাথে ওড়না পেচিয়ে আতœহত্যা করে। তবে ধারনা করা হচ্ছে স্বামীর সাথে অভিমান করেই আতœহননের পথ বেছে নেয় মুন্নী শেখ। সংবাদ পেয়ে বন্দর থানা পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তেরজন্য শহরের জনারেল হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়।
অপরদিকে বালুচর এলাকায় জয়নাল আবেদীন মিয়ার ছেলে মাদকসেবী মোঃ ইব্রাহিম পাবেল পিতার কাছে নেশা করার জন্য টাকা পয়সা চাইতো। কিন্তু পিতা তার চালচলণে অসন্তুষ্ট থাকায় সবসময় তাকে টাকা দিতে অপরগতা প্রকাশ করে। এরই জের ধরে পিতার সাথে অভিমান করে সোমবার (২১ জুন) রাত ১০টায় তিনি বাড়ির নির্মানাধীন ভবনের ফ্যানের সাথে কাপড় পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। সংবাদ পেয়ে মদনগঞ্জ ফাঁড়ী পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। পরে নিহতের পিতা জয়নাল আবেদীন মিয়া বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবরে বিনা ময়নাতদন্তে লাশ দাফনের জন্য লিখিত দরখাস্তের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয় এবং থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়। এ ব্যাপারে বন্দর থানায় ২টি ঘটনায় পৃথক দুটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ দীপক চন্দ্র সাহা জানান, বালুচর গ্রামে এক যুবক আতœহত্যা করেছে ও মঙ্গলবার ভোর ৪টায় কল্যান্দি এলাকায় একটি মহিলা আতœহত্যা করেছে। পৃথক স্থানে দুটি আত্মহত্যায় পৃথকভাবে অপমৃত্যু মামলা নেয়া হয়েছে। এরমধ্যে কল্যান্দি এলাকার মরদেহটি ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে বালুচর এলাকার নিহত যুবকটির পরিবারের লোকজনের লিখিত দাবীর ভিত্তিতে নিহতদের লাশ ময়না তদন্ত ছাড়াই দাফন করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।