জয়পুরহাটে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, ইউপি সদস্যসহ গ্রেপ্তার ২

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার বীরনগর গ্রামে পঞ্চম শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগের মামলায় একটি স্কুলের দপ্তরী কাম নৈশ্যপ্রহরী মেহেদী হাসানকে (২৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এছাড়া ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে স্থানীয় ইউপি সদস্য রাশেদুল ইসলাম মামুনকে (৩৫) গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ মঙ্গলবার বিকালে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

গ্রেপ্তারকৃত রাশেদুল ইসলাম মামুন বালিঘাটা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য এবং বীরনগর গ্রামের মৃত আমিন উদ্দীনের ছেলে। আর অভিযুক্ত মেহেদী হাসান স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী-কাম নৈশ্যপ্রহরী এবং একই গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে।  

মামলার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ জুন ২০২১ সন্ধ্যায় বীরনগর গ্রামে স্কুলের দপ্তরী-কাম নৈশ্যপ্রহরী মেহেদী হাসানের বাড়িতে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র নিতে যায় ছাত্রীটি। এসময় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে ছাত্রীকে পাশের ঘরে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে সে। পরে বাড়ি ফিরে বিষয়টি মা-বাবাকে জানায় ছাত্রীটি। পাঁচবিবি থানায় একটি ধর্ষন মামলা করলে আসামী মেহেদী হাসান ও ইউপি সদস্য রাসেদুল ইসলাম মামুনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরন করে। 

পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পলাশ চন্দ্র দেব জানান, ধর্ষণের বিষয়টি ইউপি সদস্যসহ কয়েকজন টাকার বিনিময়ে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছিল। পরে স্কুলছাত্রীর পরিবার থানায় ধর্ষণ মামলা করলে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

তিনি আরো  জানান, ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য জয়পুরহাট আধুনিক জেলা  হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।