না’গঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৪১ পিএম, ২০ জুন,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০২:১৮ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে বিয়ের প্রলোভনে গামেন্টসকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। সিআই খোলা এলাকার সরকার দলীয় প্রভাবশালীরা বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। জাজিরা লাইমসের মালিক আনোয়ার ইসলামের নেতৃত্বে এলাকার সিদ্ধিরগঞ্জ জামে মসজিদ কমপ্লেক্স এর এক সময়ের বির্তকিত ক্যাশিয়ার হাবসু, গ্যাস কামালসহ এলাকার আরো কিছু লোক মেয়ে পক্ষকে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে বলে জানা যায়।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন সিআই খোলা এলাকার রহমানের ছেলে শুভর সাথে গত ২ বছর যাবৎ প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে ওই গার্মেন্টকর্মীর। প্রায় সময় মেয়ের বাসায় গিয়ে সময় কাটাতো শুভ। গত বৃহস্পতিবার রাতে তাদেরকে আপত্তিকর অবস্থায় এলাকাবাসী আটক করে। বিষয়টি ৯৯৯ এ এলাকাবাসী জানালে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই মফিজুর রহমান ঘটনাস্থলে আসে। এসআই মফিজুর ইসলাম আসার আগে শুভ বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। পরে মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দেওয়ার কথা থাকলেও রহস্যজনক কারনে তারা থানায় আর যায়নি।
পরে জানা যায়, এলাকার সরকার দলীয় প্রভাবশালীদের হুমকির কারনে তারা থানায় অভিযোগ দিতে সাহস পায়নি। তারই ধারাবাহিকতায় শনিবার (১৯ জুন) রাতে আপোষ-মীমাংসার জন্য উভয় পক্ষকে ডাকা হয়। ঘটনার বিষয় জানতে পেরে গণমাধ্যমকর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতি টের পেয়ে বিচারকরা হুরাহুড়ি শুরু করে। সাংবাদিকরা বিষয়টি জানতে চাইলে আনোয়ার ইসলাম বলেন দেখি বিষয়টি মিমাংসা করে দেওয়া যায় কিনা।
সাংবাদিকের সাথে অশোভনীয় ব্যবহার করে বির্তকিত গ্যাস কামাল। একটি সূত্রে জানা যায়, গ্যাস কামাল মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ধর্ষণের বিষয়টি ধামাচাপা দিতে চাচ্ছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর পরিবার প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ বিষয়ে জানতে কামালের মোবাইলে ফোন দিলে তিনি মিমাংসার ঘটনার সত্যত্য ম্বীকার করেন। পুলিশ বিষয়টি জানে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন এ বিষয়ে পুলিশকে জানানোর প্রয়োজন হয়নি। প্রয়োজন হলে জানাবেন।
ধর্ষণের বিচার আপনার করার বৈধতা রয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা আমার বাড়ি আমি দেখবোনা তো কে দেখবে। এখানে বিচারের কিছু নেই।
এ ব্যাপারে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মশিউর রহমান বলেন, বিষয়টি আমি অবগত না। যদি ধর্ষণের কোন ঘটনা ঘটে তাহলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে এবং ধর্ষণের ঘটনা মীমাংসা যোগ্য না। যারা মীমাংসা করবেন তারাও আইনের আওতায় আসতে পারে।