লালপুরে অর্থ লোপাটের অভিযোগের প্রতিবাদে ইউপি চেয়ারম্যানের সংবাদ সম্মেলন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৪৭ পিএম, ১৯ জুন,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ১১:৩৭ পিএম, ১৫ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
নাটোরের লালপুর উপজেলার আড়বাব ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে গত ঈদুল ফিতরে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের বরাদ্দকৃত ভিজিএফ ও জিআরের নগদ অর্থ লোপাটের অভিযোগটি মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্রমূলক দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই ইউপি চেয়ারম্যান।
আজ শনিবার দুপুরে উপজেলার আড়বাব ইউনিয়ন পরিষদ হলরুমে তিনি এ সংবাদ সম্মেলনের করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা নিজেকে নির্দোষ দাবি করে লিখিত বক্তব্যে বলেন, ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর থেকে গরিব দুস্থ ও অসহায় পরিবারের মাঝে ৫ শত টাকা করে ৫ শত পরিবারের মাঝে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা এবং ১ হাজার ৫ শত ৪১ টি পরিবারের জন্য ৪ শত ৫০ টাকা করে ৬ লক্ষ ৯৩ হাজার ৪ শত ৫০ টাকা বরাদ্দ আসে। সুষ্ঠুভাবে বিতরনের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের সকল সদস্য ও ত্রাণ কমিটির সকল সদস্য ও মহল্লাদারের উপস্থিতিতে সভা করে ইউনিয়নের দুঃস্থ ও হতদরিদ্রদের আইডি কার্ড যাচাই-বাছাই করে তালিকা করা হয়। এছাড়া এ তালিকাটি সরকারী ভাবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক দ্বারা যাচাই করা হয়। তালিকা মাফিক গত ১২ মে লালপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার, গোয়েন্দা বিভাগের অফিসার, আব্দুলপুর তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ হীরেন্দ্রনাথ, এএসআই মঞ্জুরুল ইসলাম, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে তালিকা মাফিক বরাদ্দকৃত নগদ অর্থ বিতরন করি। বিতরনের দিন যারা বরাদ্দকৃত অর্থ নিতে আসে নি, তাদের কয়েকজন উপ-পরিচালক, ভিজিডি-২ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর বরাবর আমার বিরুদ্ধে অর্থ লোপাটের মিথ্যা অভিযোগ করে। যা সম্পুর্ন মিথ্যা,বানোয়াট ও ভিত্তিহীন,সমাজে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার একটা হীন প্রচেষ্টা মাত্র। যারা অভিযোগ করেছিল তারা তাদের অর্থ প্রাপ্তীর পর গত ১০ জুন তারিখে অভিযোগটি প্রত্যাহারের আবেদন করেন। কাজেই আমার বিরুদ্ধে উক্ত অর্থ আত্মসাতের অভিযোগটি মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।
সংবাদ সম্মেলনে পরিষদের সদস্যগন উপস্থিত থাকলেও ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগকারীরা কেউ উপস্থিত ছিলেন না। অভিযোগকারীরা অভিযোগ প্রত্যাহারের আবেদন করলেও কেন তারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত নেই এমন প্রশ্নের জবাবে ওই চেয়ারম্যান বলেন, তারা তাদের ব্যাক্তিগত কাজে ব্যাস্ত ও অসুস্থতার কারনে উপস্থিত থাকতে পারেননি।
উল্লেখ্য সম্প্রতি তালিকায় নাম থাকলেও অর্থ না পাওয়ায় কয়েকজন ব্যাক্তি ওই ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে উপ-পরিচালক, ভিজিডি-২ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তবরাবরে ভিজিএফ ও জিআরের নগদ অর্থ লোপাটের অভিযোগ করেন। যা বিভিন্ন জাতীয়, আঞ্চলিক,স্থানীয় ও অনলাইন গনমাধ্যমে লালপুরে এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ভিজিএফ এর অর্থ লোপাটের অভিযোগ শিরোনামে খবর প্রকাশিত হয়।