ভোলা পৌরশহরর খাল ও ড্রেন বন্ধ, সামান্য বৃষ্টিতেই ঘরে পানি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৩৭ পিএম, ১৬ জুন,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০৯:৪৯ পিএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
ভোলার পৌরশহরের খাল ও ড্রেন বন্ধ প্রায় ৩ বছর, পৌরসভার ১২৯জন পরিচছন্ন কর্মী থাকলেও ড্রেন পরিস্কার করা হয়নি ৩ বছর, খাল ও ড্রেনের ময়লার পচা গন্ধে পরিবেশ দূষিত হয়ে হাজার হাজার মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রন্ত হয়ে চরম র্দুভোগে রয়েছেন, মঙ্গল ও বুধবার থেকে টানা বৃষ্টিতে পৌরশহরের অনেক এলাকা ডুবে গেছে। একাকার হয়ে গেছে বৃষ্টি ও ড্রেনের পচা পানি। ওই সব অঞ্চলের ঘরবাড়িতে হাটু পরিমাই পানি। বন্যার পানির মতো ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় কয়েক হাজার পৌরবাসীকে। এমন অবস্থা দেখা যায়, ৩নং ওয়ার্ডের বিল্লা মসজিদ, কাজি বাড়ি, দফাদার বাড়ি, হাসপাতাল রোর্ড, পৌরনবীপুর, আলগী এলাকায়। শহরের প্রধান সড়কেও পানি জমে থাকতে দেখা যায়।
প্রশাসনের কর্মকর্তা, সরকারদলীয় নেতা ও পৌরবাসি জানান, ভোলা জেলা শহরের প্রথম শ্রেনীর পৌরসভার এমন অবাস্থা দেখতে ও খোঁজ নিতে দেখা যায়নি কোন জনপ্রতিনিধিকে। সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসেননি পৌর কাউন্সিলররা।
পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিল সালাউদ্দিন লিংকনকে বিষয়টি শতবার জানানো হলে তিনি ব্যবস্তা নেবেন বললেও তাকে আর দেখা যায়নি তাকে। একই অবস্থা ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মিজানুর রহমানের ক্ষেত্রে।
তিনি জানান, পৌর সভার উদ্যোগে পৌরখালের দুইপাড়ে শোভা বর্ধন ও ওয়ার্কওয়ে নির্মাণ কাজ চলছে ৩বছর যাবত। ওই জন্য খাল ও ড্রেন বন্ধ রাখা হয়েছে। ওই বাঁধ খুলে দেয়ার ক্ষেত্রে অপরাগতা প্রকাশ করেন তিনি।
পৌর সেনেটারী পরিদর্শক মোঃ ফারুক জানান, আমাদের ১২৯জন পরিচছন্ন কর্মীসহ গাড়ি সবই রয়েছে, বাকী কোন কথা বলতে পারবোনা।
পৌর মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানান, বর্তমানে তিনি ঢাকায় অবস্থান করছেন,যাদের সমস্যা রয়েছে তারা পৌরসভা থেকে লোক নিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন।
পৌর প্রকৌশলী মোঃ জাকির হোসেন জানান, খালের দুই পাড়ে ওয়ার্কওয়ে নির্মাণ কাজ চলমান থাকায় খাল বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে পানি নামার জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করছেন। শহরের পৌর আলগী, কালীবাড়ি রোড, পৌর নবীপুর, গাজিপুর রোড, অফিসার পাড়া বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা।
মোঃ রিয়াদ হোসেন জানান, খালের দুই পাড়ের কাজ শুকনো সময়ে করার কথা থাকলেও ওই কাজ করা হচেছ ঢিলেতালে।
শিবপুর ও ধনিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যানেরা জানান, ভোলার খাল বন্ধ থাকায় তাদের এলাকার কমপক্ষে ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
২০ সালে পৌরএলাকার মানুষ বিষয়টি ভোলা-১ আসনের সংসদ সদস্য, সাবেক শিল্প ও বানিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহন্মেদকে জানালে তিনি তাৎক্ষনিক জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিয়ে খালের সামান্য বাধ কেটে দিলেও পরেক্ষনেই আবার খালে বাধ দিয়ে দেয়।
জেলা প্রশাসক মোঃ তৌফিক ই লাহী জানান, শহরের এমন পরিস্থিতি কাম্য নয়। পানি নিষ্কাশনের জন্য পৌর কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে। পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী প্রকৌশলী এবিষয়ে কোন কথা বলতে অপারগতা জানান।