শায়েস্তাগঞ্জে খোয়াই নদী থেকে বালি উত্তোলনে হুমকির মুখে ৩ টি ব্রীজ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:২৬ পিএম, ১৫ জুন,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০৩:১২ পিএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
শায়েস্তাগঞ্জে খোয়াই নদী থেকে বালি উত্তোলনের কারণে হুমকির মুখে পড়েছে ৩টি ব্রীজ। কিন্তুু রহস্যজনক কারণে ঐ প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না কৃর্তপক্ষ। খোয়াই নদীর থেকে বালি তোলে ব্রীজের ঘোড়া দুই পাশে বাদ কেটে প্রতিদিন শত শত ট্রাক্টর দিয়ে বালি নিচ্ছে বীজ্রের ঘোড়া দিয়ে।
সরজমিনে পরিদর্শন করে দেখা গেছে, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রীজ, পুরাতন ব্রীজ ও রেল ব্রীজের মধ্যেবর্তি স্থান থেকে প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ টি ছোট ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালি উত্তোলন করে আসছে। তিনটি ব্রীজের ঘোরা দিয়ে বাধ কেটে ট্রাক্টর দিয়ে বালু নেওয়ায় ব্রীজগুলো হুমকির মুখে। ব্রীজের দুই পাশে বাধ কেটে বড় বড় রাস্তা করে বালি বোঝাই গাড়ি আসা যাওয়া করে। এছাড়াও খোয়াই নদীর পূর্ব পাশের বাদ পাঁচটি জায়গাই কেটে রেখেছে বালি উত্তোলনকারীরা। প্রতিদিন ট্রাক, ট্রাক্টর পাওয়ার ট্রলি দিয়ে নদী থেকে বালি নেওয়া হয়। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের খোয়াই নদীর নতুন ব্রীজ থেকে রেলওয়ে ব্রীজের মধ্যবর্তী স্থান থেকে বালি উত্তোলনের ফলে নদীর পশ্চিম পাশে নদীর গভীরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে করে নদীর পানি প্রবাহের ভারসাম্য না থাকায় বিপযর্য়ের দিকে ধাবিত হচ্ছে সড়ক পথের দুইটি ও রেলওয়ের ব্রীজ।
এছাড়াও নদীর পূর্ব পশ্চিম পাড় ঘেষা পুরান বাজার পৌর এলাকা ও সদর লস্করপুর ইউনিয়নের গঙ্গানগর, ছনাও, বালুচর, আদ্যপাশা, করিমপুরসহ আশেপাশে গ্রামগুলো হুমকী মুখে রয়েছে। বর্ষার সময় খোয়াই নদীতে পানি বেড়ে যায়। ভারত থেকে ও পাহাড়ী ঢলের পানি খোয়াই নদী দিয়ে প্রবাহিত হয়। এর ফলে খোয়াই নদীটি ওই সময় পানি বর্তী থাকে। যেকোন সময় বাদ ভেঙ্গে পানি প্রবেশ করতে পারে আশেপাশের গ্রামগুলোতে। ব্রীজের ঘোড়া অবৈধভাবে বাদ কেটে বালি তোলায় এলাকাবাসী মধ্যে ক্ষোবের সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ রোডসএন্ড হাইওয়ে কর্তৃপক্ষরা উদাসীন এদিকে তাদের কোন নজর নেই। বালি পাচার রোধে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছেন।