পাওনা দাবিতে দাহমাশি জুট মিলের পাট ব্যবসায়ীদের সংবাদ সম্মেলন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৫৭ পিএম, ১০ জুন,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০৭:৫৪ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
ফরিদপুরের মধুখালিতে অবস্থিত দাহমাশি জুট মিলে পাওনা দাবিতে পাট সরবরাহকারী কতিপয় ব্যবসায়ী সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মধুখালির কামারখালিতে একটি রেস্টুরেন্টে এর আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন, গত তিন বছর যাবত তারা এই মিলে পাট দিচ্ছেন। বর্তমানে মিলকতৃপক্ষের কাছে তাদের প্রায় ৭ কোটি ১১ লাখ টাকারও বেশি পাওনা রয়েছে।
তাদের পাওনা টাকা পরিশোধ না করে বিনা নোটিশে গত ২০ এপ্রিল মিলটি বন্ধ করে দেয়া হয়। এখন টাকা চাইলে তাদের হুমকি দেয়া হচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিশ্বাস জুট ট্রেডার্সের মালিক মো. আমিনুর রহমান। এসময় পাট সরবরাহকারী মনিরুজ্জামান মাসুদ, সুশীল সাহা, খলিলুর রহমান, মুরাদ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এবিষয়ে দাহমাশি জুট মিলের চেয়ারম্যান নোমান চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন না ধরে তার এপিএসকে দিয়ে ফোন রিসিভ করান।
তবে জুট মিলের চেয়ারম্যান স্থানয়ীয় সংবাদকর্মীদের সাথে এ প্রসঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, মৃধা মো. মনিরুজ্জামান নামে তাদের জুট মিলের একজন অংশীদার ছিলেন। যিনি জুট মিলের ৪৬ কোটি টাকা আত্মসাত করেছেন। এনিয়ে মামলা হয়েছে। তাছাড়া মৃধা মনিরুজ্জামানের আপত্তির কারণে তাদের ব্যাংকিং অপারেশন বন্ধ রয়েছে। আগামী ১৬ জুলাই মিলটি আবারো চালু হবে। এসব পাট সরবরাহকারীর পাওনাও পরিশোধ করা সম্ভব হবে তিনি জানান।
নোমান চৌধুরীর এই বক্তব্যে বিষয়ে জুট মিলের অপর অংশীদার মৃধা মনিরুজ্জামান বলেন, জুট মিলের টাকা আতœসাতের বিষয়টি সত্য না। নোমান চৌধুরী একটি মনগড়া অডিট রিপোর্ট তৈরী করে আমাদের না দেখিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছেন। তিনি ( নোমান) মিলটির দায়িত্ব নিয়ে তা উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছেন, এখন পাট সরবরাহকারি ছাড়াও আমার পাওনা টাকা পরিশোধ করছে না।