রৌমারীতে ড্রেজার মেশিনে বালু উত্তোলন, ভাঙনের মুখে আবাদি জমি ও বসতভিটা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:১৭ পিএম, ৯ জুন,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ১১:২৮ পিএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী চর গয়টা পাড়া গ্রামে অবৈধ ড্রেজার মেশিনে বালু উত্তোলনে ভাঙনের মুখে আবাদি জমি ও বসতভিটা। এবিষয়ে গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অদম্য প্রভাবশালী মাটি ব্যবসায়ীরা যেন বেপরোয়া হয়ে পরেছে, কারো কথার তোয়াক্কাই করছে না তারা। অবৈধ ড্রেজারের মাধ্যমে বালু উত্তোলনে প্রশাসনকে অভিযোগ করলেও বন্ধ হচ্ছে না ড্রেজার।
গত ৯ জুন বুধবার অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে ব্রম্মপুত্রের শাখা হলহলিয়া নদী হতে অবৈধ ড্রেজার মেশিনের সাহায্যে গোলাম হোসেন (৩২) পিতা মৃত পরশ আলী, সুজন মিয়া (সুজা) (৪২) পিতা মৃত তাহেজ উদ্দিন দীর্ঘ দিন ধরে তাদের বসত বাড়ি উচু করার জন্য বালু উত্তোলন করে আসছে। এতে ৩০-৩৫ ফিট গভির করে মাটি উত্তোলন করছে। হলহলিয়া শাখা নদী শুধু গভীর গর্তই হচ্ছিল না, বর্ষা মৌসুমে নদীর গতিপথ পরিবর্তীত হয়ে নদীর পাড় ভেঙ্গে নদীগর্ভে বিলীনের হুমকির মুখে পরেছে জমি এবং বসতভিটার মালিকগণ ।
জমির মালিক আমিনুল ইসলাম,বেলাল হোসেন, আজগর আলী আফতার হোসেন,সোনার আলী, অভিযোগ করে বলেন ড্রেজার দিয়ে মাটি কাটা বন্ধ না করলে আমাদের আবাদি জমি সব নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। বসত বাড়ীর মালিকগণ বলেন, আমাদের বাড়ি হতে ১০-১৫ ফিট দূরে ড্রেজার মেশিন দিয়ে মাটি উত্তোলন করছে একটা ভারি বৃষ্টি হলেই আমাদের বসতবাড়ী সব গর্তে পরে যাবে। দীর্ঘদিন ধরে হলহলিয়া নদীটি মরে গেছে এভাবে ড্রেজার দিয়ে মাটি উত্তোলন করলে আরও পূর্বের মতো চালু হবে এই নদী।
ড্রেজারে মাটি ব্যবসায়ী ময়নাল, সুজন মিয়া (সুজা) বলেন, এভাবে বালু তুলতে থাকবো কারো বাপের ক্ষমতা থাকলে যেন বন্ধ করতে আসে।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল ইমরান জানান, অবৈধভাবে ড্রেজিং করে বালু উত্তোলণকারী প্রতিটি ড্রেজার মালিককের বিরুদ্ধে অতি দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।