‘হিংসামুক্ত বিশ্ব সম্প্রীতি দিবস’ উদযাপন সম্প্রীতি ও বন্ধুত্ব স্থাপনেই পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে : বাংলাদেশ বন্ধু সমাজ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৫৫ এএম, ২৪ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২০ | আপডেট: ১১:১৬ পিএম, ২৩ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
পৃথিবীর সকল মানুষ হিংসা বর্জন করে পারস্পরিক ভেদাভেদ ভুলে সংঘাত ও কলহমুক্ত উৎসবমুখর পরিবেশ অতিবাহিত করলে সম্পর্ক উন্নয়ন ও বন্ধুত্ব স্থাপনে পৃথিবীতে সম্প্রীতি ও বন্ধুত্বের যুুগের আগমন ঘটবে এবং শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে।
আজ সোমবার (২৩ নভেম্বর) বিকাল ৩টায় জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ বন্ধু সমাজ আয়োজিত ‘হিংসামুক্ত বিশ্ব সম্প্রীতি দিবস’ উদযাপন অনুষ্ঠানে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ বন্ধু সমাজের সভাপতি এফ আহমেদ খান রাজীব বলেন, মানুষের মাঝে বন্ধুত্ব ও সম্প্রীতির পরিবেশ সৃষ্টি করাই হচ্ছে বাংলাদেশ বন্ধু সমাজের মূল লক্ষ্য। হিংসা-বিদ্বেষ-অহংকার পরিত্যাগ করে ভ্রাতৃত্ব-বন্ধুত্ব-সৌহার্দ্যরে মিশ্রণে সম্প্রীতি ও বন্ধুত্বের দেশ গড়তে পারলেই দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে। এ সময় তিনি বাংলাদেশ বন্ধু সমাজকে সাংবিধানিক বৈধতাসহ জাতীয়ভাবে স্বীকৃতি প্রদান অথবা জাতীয়করণ করার জন্য শান্তিকামী দেশবাসীর পক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীসহ সকল নীতি-নির্ধারক মহোদয়গণকে অনুরোধ জানান।
রাজীব খান বলেন, ইতিমধ্যে জাতিসংঘের মহাসচিব, বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধান, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীসহ বিভিন্ন নীতিনির্ধারক ব্যক্তিবর্গের নিকট উক্ত দিবসটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে উদযাপনের আহ্বান জানিয়েছি। এরই ধারাবাহিকতায় বিগত বছরগুলোর ন্যায় এবছরও ২৩ নভেম্বর বাংলাদেশসহ পৃথিবীবাসীকে ‘হিংসামুক্ত বিশ্ব সম্প্রীতি দিবস’ উদযাপনের আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, দেশের চলমান সামাজিক পরিবেশ উত্তপ্ত করতে কোনো কোনো পক্ষ উস্কানি ও সংঘাতযুক্ত আচরণ করছে। আবার কিছু ব্যক্তি ধর্ষণসহ নানাবিধ ঘৃণিত কর্মকান্ড করে সমাজ ও দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলছে। এমতাবস্থায় কলহ-দ্বন্দ্ব-সংঘাত ও সন্ত্রাসসহ সকল অনৈতিক কর্মকান্ড রোধে সকলের মাঝে পাপবোধ জাগ্রত করতে কোনো এক পক্ষকে বন্ধুত্বের বলয়ে আবদ্ধ হয়ে দেশের বিপথগামী মানুষকে সুপথের আহবান করা জরুরি হয়ে পড়েছে। এরই লক্ষ্যে বাংলাদেশ বন্ধু সমাজের পক্ষ থেকে দেশের বিপথগামী মানুষকে সকল প্রকার অনৈতিক কর্মকান্ড পরিহার করে সুপথে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।
এ সময় তিনি মানুষজাতির পক্ষে একযোগে কৃতজ্ঞতা প্রকাশের প্রত্যাশা বাস্তবায়নে বছরের শেষ দিন ৩১ ডিসেম্বর ‘কৃতজ্ঞতা প্রকাশ দিবস’ পালনের ঘোষণা দেন। আগামী বছর থেকে এই ‘কৃতজ্ঞতা প্রকাশ দিবস’-এ ভালো কর্মের জন্য দেশবরেণ্য ৫০ জন ব্যক্তিকে কৃতজ্ঞতা সম্মাননা পদক উপহার দেয়ার প্রত্যাশাও জ্ঞাপন করেন তিনি।
এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি ফয়সাল মাহমুদ ফয়েজী, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভাষাসৈনিক রেজাউল করিম, চলচ্চিত্র পরিচালক ও গীতিকার জুলহাস চৌধুরী পলাশ, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ এনাম আহমেদ চৌধুরী, অ্যাড. সুলতান আহমেদ খান, সাংবাদিক ও কলমযোদ্ধা লিয়াকত আলী খান, দৈনিক বঙ্গ জননীর সম্পাদক ও প্রকাশক কামারুজ্জামান জিয়া, দৈনিক পুনরুত্থানের সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সবুজ, হাবিবুর রহমান, রাজু আহমেদ খান, মঞ্জুর হোসেন ঈসা, সাংবাদিক নেতা ডি এম আমিরুল ইসলাম অমর প্রমুখ।