ভারত সীমান্তবর্তী জয়পুরহাটে দিনদিন বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৩৭ পিএম, ২ জুন,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০৩:১৮ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
ভারতীয় সীমান্তবর্তী জেলা জয়পুরহাটে দিন দিন করোনা রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ৭ দিনে করোনা রোগী পরীক্ষা বিবেচনায় সনাক্তের হার শতকরা ৩১.০৫ ভাগ। এ অবস্থায় করোনা সংক্রমন ঝুকি এড়াতে রাত ৮ টার পর জেলার সকল দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষনা করেছে জয়পুরহাট জেলা প্রশাসন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০ কিলোমিটার এর বেশী সীমান্ত এলাকায় বৈধ পথে ভারত হতে বাংলাদেশে যতজন প্রবেশ করছে তার চাইতে বেশীজন প্রবেশ করছে অবৈধভাবে। সীমান্তে বিজিবির নজরদারী থাকলেও প্রতিদিন ভারত ও বাংলাদেশের অনেকে এপার-ওপার হচ্ছে। অনেকে তাদের জমি চাষাবাদ করার জন্য পারাপার হচ্ছে। সীমান্ত এলাকায় যাদের বাড়ী তারা চাষাবাদ কিংবা অন্য কারণে একে অপরের সংর্স্পশে আসছে। ফলে করোনার ভারতীয় ধরন যেকোন সময় জয়পুরহাট জেলাকে করোনা সংক্রমনে হটস্পটে পরিনত করতে পারে।
এব্যাপারে বিজিবি ১৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল নাদিম জানান, ১৪ ব্যাটালিয়নের অধীনে দিনাজপুর, জয়পুরহাট ও নওগাঁ জেলায় ভারতের সাথে ৮৭.০১ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। এরমধ্যে জয়পুরহাট জেলায় ভারতের সাথে ২০.৬ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। সীমান্তে ভারতীয় প্রবেশ ঠেকাতে বিজিবির কড়া নজরদারি রয়েছে। অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি সদস্যরা সার্বক্ষনিক কাজ করে যাচ্ছে।
জয়পুরহাট জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ ওয়াজেদ আলী জানান, গত ৮ দিনে (২৫-৩১ মে পর্যন্ত) জয়পুরহাট জেলায় ৩ শ ১ জন ব্যক্তিকে করোনা পরীক্ষা করা হয়। এরমধ্যে ৭৫ জন ব্যক্তির শরীরে করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। গত ৮দিনে করোনা সংক্রমনের হার শতকরা ২৫ ভাগ। গতকাল মঙ্গলবার ১৭ টি পরীক্ষা করে ৫ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। এক্ষেত্রে একদিনে করোনা শনাক্তের হার শতকরা প্রায় ৩০ ভাগ। এপর্যন্ত জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ১২ জন। এরমধ্যে জয়পুরহাট সদরে ৭ জন, পাঁচবিবি ও কালাইয়ে ২জন করে এবং ক্ষেতলালে ১জন। জয়পুরহাট জেলা সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ায় করোনা সংক্রমনের ঝুকি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বৈধভাবে দিনাজপুরের হিলি সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে লোকজন পার হয়ে আসলেও অবৈধভাবে অনেকে সীমান্ত দিয়ে গোপনে জয়পুরহাটে প্রবেশ করতে পারে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের বিশেষ সতর্কতা ও কঠোর নজরদারী প্রয়োজন বলে মনে করছেন জয়পুরহাট জেলাবাসী।
এদিকে করোনা সংক্রমনের হার আগের তুলনায় বৃদ্ধি পাওয়ায় সোমবার জয়পুরহাট জেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে জেলা করোনা সমন্বয় কমিটির এক সভা জেলা প্রশাসক শরীফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ঔষধ ও খাবারের দোকান ছাড়া জেলার সকল দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রাত ৮ টার পর বন্ধ ঘোষনা করা হয়।