অস্থির হয়ে পড়েছে ভোলার নিত্যপণ্যের বাজার, মানুষের নাভিশ্বাস!
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:১৭ পিএম, ১ জুন,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০১:০৫ এএম, ৯ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
ভোলার বাজারে আগে থেকেই বেশকিছু নিত্য পণ্যের দাম চড়া। বিশেষ করে চাল, ডাল, তেল, পিয়াজ, রসুন, আলুসহ অনেক নিত্য পণ্যের দাম নিয়ে বছরজুড়েই অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়েছে ক্রেতাদের। এরমধ্যেই নতুন করে আবারও এই পণ্যগুলোর দাম বাড়ানো হয়েছে। ফলে আবারো বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। সয়াবিন তেলের দাম আরেক দফা বাড়ানো হয়েছে। তবে ব্যবসায়ীরা লিটারে ৯ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দিলেও বাজারে চিত্র আলাদা। খুচরা বাজারে প্রতি লিটার সয়াবিনের দাম ১৫ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। এছাড়া এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি পিয়াজের দাম বেড়েছে ১০ টাকা, প্রতি কেজি রসুনের দাম বেড়েছে ৪০ টাকা, আলুর দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা, এমনকি নতুন ধানের চাল বাজারে আসার পরও আরেক দফা বেড়েছে চালের দাম। এ অবস্থায় চরম বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ভোক্তারা। বিশেষ করে স্বল্প আয়ের খেটে খাওয়া মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে।
আজ মঙ্গলবার ভোলার পাইকারী বাজারসহ কয়েকটি খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের চাল কেজিতে ৩-৪ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া গত সপ্তাহের তুলনায় বেশ কয়েকটি নিত্যপণ্য কিনতে বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে ভোক্তাদের। গত সপ্তাহে ১৩৩ টাকায় খোলা সয়াবিন তেল পাওয়া গেলেও এই সপ্তাহে একই তেল বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকা। ৬৭০ টাকার ৫ লিটার বোতল এখন বিক্রি হচ্ছে ৭৩০ টাকায়। ১৩৫ টাকার এক লিটার বোতল বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা। খোলা পামওয়েল বিক্রি হচ্ছে প্রতিলিটার ১৩০ টাকা থেকে ১৩২ টাকা এবং ১১০ টাকা লিটার সুপার পামওয়েল বিক্রি হচ্ছে ১৩৩ টাকা।
এদিকে বাজারে নতুন চালের পর্যাপ্ত মজুত থাকলেও চালের দাম আরো বাড়ানো হয়েছে। বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহে যে চালের দাম ছিল ৫৫ টাকা কেজি। এখন সেই চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৭ টাকা। গত সপ্তাহে যে চালের দাম ছিল ৬২ টাকা কেজি, এখন সেই চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৪ টাকা। এছাড়া গত সপ্তাহে যে চালের দাম ছিল ৪৮ টাকা কেজি, এখন সেই চাল চিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। গত সপ্তাহের ৫২ টাকা কেজি চালের দাম বেড়ে হয়েছে ৫৪ টাকা। বাজারে প্রতি কেজি মোটা চাল ৪৮-৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, যা সাত দিন আগেও ছিল ৪৭-৪৮ টাকা। মাঝারি আকারের চাল প্রতি কেজি সর্বোচ্চ ৫৬ টাকায় বিক্রি হয়েছে, যা গেল সপ্তাহে ৫২ টাকায় বিক্রি হয়। এছাড়া সরুচাল প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৬৪ টাকায়। যা এক সপ্তাহ আগেও ৬২ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বাজারে বেড়েছে মশুর ডালের দামও। বড় দানার মশুর ডালের প্রতি কেজির দাম ৮০ টাকা আর ৯০ টাকায় বিক্রি হওয়া ডাল বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকায়। চিনি, ডিমসহ বিভিন্ন প্রকারের সবজির দাম বেড়েছে ৫ থেকে ৩০টাকা পর্যন্ত।
এছাড়া বাজারে গত সপ্তাহের তুলনায় পিয়াজের দামও বেড়েছে। গত সপ্তাহে দেশি পিয়াজের দাম ছিল ৩৮ টাকা থেকে ৪০ টাকা। এখন সেই পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা কেজি। ৪০ টাকা কেজি পিয়াজের ৪৫ টাকা কেজি। আলু কেজি ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি রসুনে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আদা বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা।
চাউলের আড়ৎদার জামান উদ্দিন জানান, চাউলের বাজার হঠাৎ কওে কেন বেড়েছে জানিনা। আমরা যেমন ক্রয় করি তেমন বিক্রি করি, আমাদেও বস্তা প্রতি ১০টাকা ব্যবসা করা কঠিন হয়ে পরেছে। জেলা প্রশাসন বলছেন কেন নিত্যপণ্যের বাজার বেড়েছে শিগ্রই তা মনিটর করা হবে।