রংপুর মেডিকেলের বার্ণ ইউনিটের এসি বিকল : রোগীরা দূর্ভোগে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:২৭ পিএম, ১ জুন,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০২:৫৯ পিএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটের সব এসি দীর্ঘদিন ধরে বিকল হয়ে আছে।এসির পাশা পাশি অধিকাংশ বেডের ফ্যান ও অচল। এই অবস্থায় চলছে অগুনে পোড়া রোগীদের চিকিৎসা। পোড়া ঘাঁয়ের যন্ত্রনায় ছট ফট করা রোগীর স্বজনরা হাত পাখা দিয়ে তাদের দিন রাত সেবা করছেন।গত একমাসে বার্ণ ইউনিটে ৫ রোগীর মৃত্যূ হয়েছে। হাসপাতাল কতৃপক্ষ বলেছেন খুব শিঘ্রই এই অবস্থার পরিবর্তন হবে।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে,গত তিনমাস ধরে হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটের সব এসি বিকল হয়ে আছে।এসি‘র পাশা পাশি অধিকাংশ বেডের ফ্যান গুলোও বিকল হয়ে আছে।এ অবস্থায় রংপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগুনে পোড়া রোগীরা হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসা নিতে এসে চরম দূর্ভোগে পরেছেন।
বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসার ঔষুধের পাশা পাশি এসি ও ফ্যানের গুরুত্ব অপরীসীম।পোড়া ঘাঁেয়র জ্বালা যন্ত্রনা কমাতে ঠান্ডা শীতল আমেজ রোগীদের স্বস্থি দেয়। ঘুমোতে সাহায্য করে।কিন্ত গত তিন মাস ধরে বার্ন ইউনিটের এসি বিকল থাকায় রোগীদের চরম দূর্ভোগে পরতে হয়েছ।নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক রোগীর স্বজন দিনকাল কে জানিয়েছেন,প্রায় কুড়ি দিন থেকে তিনি তার শিশু সন্তান নিয়ে বার্ন ইউনিটে আছেন।এসে দেখেছেন এসি গুলো চলেনা। এমনকি বেডের উপরের অধিকাংশ ফ্যানও ঘোরেনা।প্রচন্ড গরমে আগুনে পোড়া শিশু সন্তান নিয়ে খুব কষ্টে আছেন। পোড়া ঘাঁয়ের জ্বালা শুরু হলে হাতপাখা দিয়ে ক্ষত স্থানে বাতাস করতে হয়।চিকিৎসা নিতে আসা অনেকের সাথেই কথা হলে তারা সকলেই জানালেন একই কথা। তারা বার্ণ ইউনিটের সকল এসি ও ফ্যান সচল করার দাবী জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে হাসপাতালের পরিচালক ডা,রেজাউলের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমি সবে মাত্র যোগদান করেছি।বার্ণ ইউনিটের অঢ়ল এসি গুলো মেরামতের ব্যাবস্থা নেয়া হয়েছে।খুব শিঘ্রই এ অবস্থার উন্নতি হবে।