কর্তৃপক্ষ নিজেই করছেন শহর নোংরা ও পরিবেশ দুষন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৫৪ এএম, ৩১ মে,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০৭:৪৪ পিএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
কমিউনিটি সেন্টার এবং বিনোদন পার্কের প্রবেশ পথের পাশেই ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়, অবিশ্বাস্য মনে হলেও দৃশ্যমান চিত্রটি রয়েছে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরে। শহরকে পরিচ্ছন্ন ও দূষনমুক্ত রাখার শ্লোগান ঝুলিয়ে দিয়ে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ নিজেই করে চলেছেন উল্টো কার্যক্রম। শহরের যেখানে সেখানে সড়ক পাশের জলাধার ভরাট করে ভাগাড় বানিয়ে শহর নোংরা ও পরিবেশ দূষন করে চলেছেন। কিন্তু জনগুরুত্বপুর্ণ বিষয়টি নিয়ে যেন কারো কোন মাথা ব্যাথা নেই।
জানা গেছে, ৩৩ বছর বয়সী সান্তাহার পৌরসভা “গ” শ্রেনি থেকে অনেক আগেই “ক” শ্রেনিতে উন্নিত হয়েছে। ফলে বেড়েছে আবাসিক, বাণিজ্যিকসহ নানা করের বোঝা। কিন্তু বাড়েনি নূন্যতম পরিমাণ নাগরিক সুযোগ সুবিধা।
খোঁজ জানা যায়, পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা একটা নির্দিষ্ট স্থানে বহনের জন্য স্থানীয় সরকার থেকে একটি ট্রাক বরাদ্দ করা হয়েছিল। বেশ কিছু দিন ময়লা-আবর্জনা পরিবহন কাজ করতেও দেখা যায়। এক সময় সেটি পড়ে থাকে গ্যারেজে। পরে সেটি মেরামত করে পণ্য পরিবহন করতে দেখা যাচ্ছে। ট্রাকটিকে বেশীর ভাগ সময় বর্তমানসহ তিন মেয়াদে থাকা মেয়রের অংশিদারিত্বে চলা প্লাস্টিক কারখানার পণ্য পরিবহন করতে দেখা যায়। বর্তমানে ট্রাকের পরিবর্তে ভ্যানে করে ময়লা-আবর্জনা বহন করতে দেখা যাচ্ছে। ময়লা-আবর্জনার ভ্যান চালকরা শহরের হেমতখালি, নাটোর বাইপাস সড়ক, মালশন সড়ক, খাদ্য শস্য সাইলো সড়কসহ বিভিন্ন সড়ক পাশের জলাধারসহ যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলে রাখছে। উন্মুক্ত স্থানে ফেলে রাখা এসব ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধে এলাকার বাসিন্দা এবং সড়কে চলাচল করা পথচারি, বাইসাকেল, মোটর সাইকেল এবং ছোট ছোট যানবাহনের যাত্রীদের জীবনযাত্রা দূর্বিসহ হয়ে উঠেছে।
এবিষয়ে পৌরসভার প্যানেল মেয়র জার্জিস আলম রতন বলেন, সান্তাহার পৌরসভা মূলত রেলওয়ে জংশন ভিত্তিক। ফলে জাগয়ার বড়ই সংকট। স্থায়ী ভাগাড় নির্মাণে রেলওয়ের অপ্রয়োজনীয় এবং জলাবদ্ধ জমি স্থায়ী বরাদ্দ নেয়ার জন্য যোগাযোগ চলছে। স্থায়ী ভাগাড় নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত সকলকে এই কষ্ট মেনে নিতে হবে।