রাবি উপাচার্য : সিনেট ও প্রশাসন ভবনেও তালা আবারও তালা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:১৭ এএম, ৩ মে,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০২:৫৯ পিএম, ১৩ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক এম আবদুস সোবহানের বাসভবনে আবারও তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান কমিটির নেতাকর্মীরা।
আজ রবিবার সকাল সাড়ে ৮টায় ভবনের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে গত বছর ডিসেম্বরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় চিঠি দিয়েছিল। এতে তার দুর্নীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা স্পষ্ট হয়েছে। উপাচার্য এম আবদুস সোবহান তার মেয়াদের শেষ সময়ে এসে আরও বড় ধরনের অনিয়ম করবে বলে আমরা আশঙ্কা করছি। যে কারণে আমরা তার বাসভবনে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, ‘আজ ফাইনান্স কমিটির মিটিং ছিল। কিন্তু আন্দোলনকারীদের অবস্থানের কারণে কমিটির কেউ ভেতরে প্রবেশ করতে পারেনি। অনিবার্য কারণবশত আজকের ফাইনান্স কমিটির সভা স্থগিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আবদুস সোবহানের মোবাইলে ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। গত ১১ জানুয়ারি চাকরির দাবিতে উপাচার্য ভবনে তালা লাগিয়েছিল নেতাকর্মীরা।
উপাচার্য ভবনের পরে রাবি সিনেট ও প্রশাসন ভবনেও তালা : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক এম আবদুস সোবহানের বাসভবনের পরে এবার সিনেট ও দুটি প্রশাসন ভবনেও তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান কমিটির নেতাকর্মীরা।
আজ রবিবার দুপুর ১টার দিকে সিনেট ভবন এবং প্রশাসনিক ভবনে তারা তালা ঝুলিয়ে দেন।
তারা বলেন, উপাচার্য অধ্যাপক এম আবদুস সোবহান যেন কোনো ধরনের প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে না পারেন সে জন্য এই কঠোর অবস্থান নিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ইলিয়াস হোসেন বলেন, বর্তমান উপাচার্য ২০১৭ সালের ৭ মে নিয়োগ পেয়েছিলেন। আগামী ৬ মে তার মেয়াদ শেষ হবে। ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি অভিযোগ উঠেছে। মেয়াদের শেষ সময়ে যেন তিনি অতীতের মতো আর দুর্নীতি করতে না পারেন সে জন্য আমরা অবস্থান নিয়েছি। এর আগে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক এম আবদুস সোবহানের বাসভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান কমিটির নেতাকর্মীরা।