ওয়েবসাইট জটিলতায় বন্ধ ঢাবিতে ভর্তির আবেদন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৫৬ এএম, ১০ মার্চ,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০৮:৫৫ এএম, ১৬ সেপ্টেম্বর,সোমবার,২০২৪
ওয়েবসাইট জটিলতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথমবর্ষে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন এখন বন্ধ। এর আগে, সোমবার বিকেল ৫টায় আবেদন প্রক্রিয়া উদ্বোধন করেন ঢাবি ভিসি ড. মো. আখতারুজ্জামান। আবেদন প্রক্রিয়া উদ্বোধনের পর পরই আবেদনের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছিল ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের। যান্ত্রিক জটিলতা তৈরি হওয়ায় সেটিকে ঠিক করার লক্ষ্যে কাজ করছেন অনলাইন ভর্তি কমিটির সদস্যরা। কাজের জন্য আপাতত ওয়েবসাইটে আবেদন প্রক্রিয়া বন্ধ রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ওয়েবসাইটের জটিলতা ঠিক হওয়ার পর পুনরায় চালু করা হলে তখনই সবাই আবেদন করতে পারবে। আবেদন প্রক্রিয়ায় সমস্যার বিষয়ে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ আসার পর সোমবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান বিষয়টি ডেইলি বাংলাদেশকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আপাতত ওয়েবসাইট বন্ধ আছে। এখন কেউ চাইলেও ওয়েবসাইটে ঢুকে আবেদন করতে পারবে না। শিক্ষার্থীরা ভোগান্তির শিকার হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমরা সাময়িক এই অসুবিধার জন্য দুঃখিত। ওয়েবসাইট পুনরায় চালু হলে সবাই আবেদন করতে পারবে। আবেদনকারীদের প্রতি তিনি বলেন, আপনারা কিছুক্ষণ পর পর ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখতে পারেন যে, কখন চালু হয়। গভীর রাত হলেও আমরা চালু করবো।
অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সমস্যার বিষয়টি জানার পর থেকেই আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি। গত ১০ বছর ধরে ওয়েবসাইটটি একই সিস্টেমে চলছে কিন্তু কখনও ডিসটার্ব হয়নি। এবার হঠাৎ করে এই যান্ত্রিক জটিলতা তৈরি হয়েছে। সিস্টেমে কি হয়েছে সেটা আমরা দেখছি। যত দ্রæত সম্ভব আমরা পুনরায় এটিকে সচল করার চেষ্টা করছি। আমাদের বিকল্প মেশিনও রয়েছে সেখানেও কাজ করা যাবে সে লক্ষ্যেও কাজ চলছে। কি হয়েছে সেটা জানার জন্যও আমরা চেষ্টা করছি।
তিনি আরো বলেন, পূর্বের বছরগুলোতেও মাঝে মাঝে এইরকম সিস্টেম জটিলতার ছোট কাজ করা লেগেছে। তখনও আমরা ওয়েবসাইট বন্ধ রেখে কাজ করেছি। যখন ওয়েবসাইট মেইনটেইন্যান্সের কাজ করি তখন এটাকে সাময়িক (ওয়েবসাইট) বন্ধ রেখে কাজ শেষ করে পরবর্তীতে আবার চালু করা হয়। এটা নতুন কিছু নয়। আবেদন প্রক্রিয়া চলাকালীন বিভাগীয় শহর বাছাইয়ে কোনো সিট সংকট দেখা দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভর্তি পরীক্ষার আবেদন প্রক্রিয়ায় যে যেখানে (বিভাগে) ভর্তি পরীক্ষার সিট চায় তাকে সেখানেই সিট দেয়া হবে। সিট শেষ হয়ে যাবে এমন কোনো সম্ভাবনাই নেই। শিক্ষার্থীরা নিজেদের সুবিধা মতোই কোন বিভাগে থেকে নিজের ভর্তি পরীক্ষা দিতে চায় সে সেই বিভাগেই দিতে পারবে। যে যেখানে আবেদন করবে তার সিট সেখানেই পড়বে।
তিনি আরো বলেন, যেখানে যে পরিমাণ আসনই পড়–ক না কেন সেখানেই পরীক্ষা হবে। কোনো বিভাগে যদি ৮-১০ জন শিক্ষার্থীরও আসন চয়েজ আসে তাহলে তাদের জন্য আমরা সেখানেই পরীক্ষার আয়োজন করবো। ঢাকায় আসাটা বা অন্য কোথাও গিয়ে পরীক্ষা দেয়াটা যে তাদের জন্য কষ্টকর সেটা আমরা বিবেচনায় রাখবো।