কুবিতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মারামারি, আহত ২
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৩৯ পিএম, ২ মার্চ,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০৩:০১ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ছাত্রলীগের দুই হলের নেতাকর্মীদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। একজন গুরুতর আহতসহ দুইজন আহত হয়।
গতকাল সোমবার (১ মার্চ) রাত ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহত শিক্ষার্থীকে কুমিল্লা মেডিকেলে নেয়া হয়। আহতরা হলেন, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ছাত্রলীগ নেতা সোহেল হাওলাদার ও একাউন্টিং এন্ড সিস্টেমস বিভাগের শিক্ষার্থী ও শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল ছাত্রলীগ কর্মী প্রীতম সেন।
প্রতক্ষ্যদর্শী সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল ছাত্রলীগ কর্মী ও ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের ১২ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সালমান চৌধুরীর সাথে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ছাত্রলীগ কর্মী ও ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ১১ তম ব্যাচের সোহেল হাওলাদারের মাঝে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সালমানের নেতৃত্বে দত্ত হল ছাত্রলীগ নেতা প্রীতম সেন, সিফাত, সোহাগ, আল-আমিন, অভিসহ ১০-১২ জন নেতা-কর্মী সোহেলের উপর হামলা করে।
এসময় সোহেলের ডান চোখের উপরের অংশ আঘাতপ্রাপ্ত হয়। পরে সোহেলের সাথে থাকা বঙ্গবন্ধু হল ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সত্যজিৎ সাহা সেতু, হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াসিফুল ইসলাম সাদিফসহ কয়েকজন প্রতিরোধ করতে গেলে তাদের সাথে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে দত্ত হলের প্রীতম সেন আহত হয়।
আহত সোহেল হাওলাদার বলেন, পূর্ব ঘটনার কারণে দত্ত হলের ১২ তম ব্যাচে শিক্ষার্থীরা আমার উপর হামলা করে।
হোটেল থেকে খাবার খেয়ে রুমে ফেরার সময় তারা পেছন থেকে ১৫-২০ জন এসে আমাকে এলোপাথাড়ি মারতে থাকে। পূর্বে তাদের সাথে আমাদের ঝামেলা হয় তখন ইলিয়াস ভাই-মাজেদ ভাই মীমাংসা করে দেয়।
আরেক আহত প্রীতম সেন বলেন, আমি হলে যাচ্ছিলাম, এসময় দেখি কয়েকজন বাকবিতন্ডা করছে। কৌতূহলবসত আমি দেখতে গেলে ওয়াসিভাই ও তার বন্ধুরা আমি কিছু বুঝে না ওঠার আগে আমাকে কোনো কারণ ছাড়াই মারধর করে।
তবে বঙ্গবন্ধু হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াসিফুল ইসলাম সাদিফ বলেন, আমরা সোহেলসহ হলের দিকে যাচ্ছিলাম। এসময় কয়েকজন সোহেলের উপর হামলা চালায়। সোহেলকে বাঁচানোর সময় আমরা তাদের প্রতিহত করি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে দত্ত হল ছাত্রলীগ কর্মী সালমান চৌধুরী বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পুর্ণ মিথ্যা। আমি মারামারি দেখে ওখানে গিয়েছি। যারা আমাকে জড়িয়েছে তারা কান্ড-জ্ঞানহীন। আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, এ ঘটনায় জড়িত সবার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়া হবে। আজকের মধ্যেই আমরা এ ঘটনার সমাধান দিবো।
এবিষয়ে প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, ঘটনাস্থলে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা যেয়ে আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে। আজকে ছাত্রপ্রতিনিধিদের নিয়ে সব পক্ষের সাথে বসে বিষয়টি মীমাংসা করা হবে।