বিশ্ববিদ্যালয় ও হল খোলার সময় জানালেন শিক্ষামন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:২১ পিএম, ২২ ফেব্রুয়ারী,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০২:৫৪ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে পাঠদান ২৪ মে থেকে শুরু হবে এবং আবাসিক হল খুলবে ১৭ মে। স্কুল-কলেজ খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ২৮ ফেব্রুয়ারির পর।
আজ সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সোয়া ২টায় অনলাইনে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী একথা জানান।
তিনি বলেন, ‘সরকার কতগুলো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। অতি সম্প্রতি দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মহোদয়ের সঙ্গে, ইউজিসির মাননীয় চেয়ারম্যান এবং সদস্যদের সঙ্গে আমরা বিস্তারিত আলাপ আলোচনা করেছি।
বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে আমরা এই সিদ্ধান্তগুলোতে উপনীত হয়েছি- সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর ২৪ মে থেকে শুরু হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আবাসিক হলগুলো তার এক সপ্তাহ আগে ১৭ মে খুলে দেওয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই সময়ের মধ্যে গত ১১ মাস ধরে অনলাইনে যেভাবে ক্লাস চলেছে, সেই একইভাবে অনলাইনে ক্লাস চলবে। কিন্তু কোনো শ্রেণিকক্ষে পাঠদান হবে না এবং কোনো পর্যায়ে কোনো ধরনের পরীক্ষাও নেওয়া হবে না। সকল ধরনের পরীক্ষা এই সময়টায় বন্ধ থাকবে। সব পরীক্ষাই হবে বিশ্ববিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হবার পরে। আমরা সব পরীক্ষা গ্রহণ করবো পর্যায়ক্রমে।’
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার আগে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
বিসিএস পরীক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বিসিএস পরীক্ষার আবেদন এবং পরীক্ষা তারিখ সেগুলোকে এই বিশ্ববিদ্যালয় খোলার তারিখের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সেটাকে পিছিয়ে দেওয়া এবং করোনার কারণে বিসিএস পরীক্ষার আবেদনের বয়সসীমা যাদের অতিক্রান্ত হয়ে যাবে, তারা যেন কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেই বিষয়ে সরকার প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
অর্থাৎ বিসিএস পরীক্ষার জন্য অস্থির হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস করতে হবে বা খুলতে হবে তার আর কোনো কারণ আশা করি আর থাকবে না।’
‘ইতোমধ্যে কোথাও যদি কোনো শিক্ষার্থী হলে অবস্থান নিয়ে থাকেন, তাহলে অবিলম্বে তাদেরকে হল ত্যাগ করতে হবে’ বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
গত বছরের ১৭ মার্চ করোনার প্রাদুর্ভাব রুখতে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। কয়েক ধাপে বাড়ানোর পর ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়।
করোনার প্রাদুর্ভাব কমে আসায় চলতি বছরের শুরু থেকেই বিভিন্ন মহল থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেয়ার দাবি আসতে থাকে। এ নিয়ে আন্দোলনে নামে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
সর্বশেষ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোর ফটকের তালা ভেঙে প্রবেশ করেন। এরপর ঢাবি, রাবিসহ আরও কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে।