ইবিতে চলছে ফ্যাসিবাদী ইতিহাস চর্চা, অবসান চায় ছাত্রসমাজ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৪৫ পিএম, ৭ জানুয়ারী,মঙ্গলবার,২০২৫ | আপডেট: ০৯:৩০ এএম, ৯ জানুয়ারী,বৃহস্পতিবার,২০২৫
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বিভিন্ন বিভাগের একাডেমিক সিলেবাসে এখনও পূর্বের বিকৃত ইতিহাস পড়ানো হচ্ছে। বিগত স্বৈরাচারী সরকারের জোর করে চাপিয়ে দেয়া বিষয়বস্তুতে চলছে একাডেমিক কার্যক্রম। এসব ফ্যাসিবাদী ইতিহাসের অবসান ঘটিয়ে প্রকৃত ইতিহাস পাঠ্য বইয়ে তালিকাভুক্তির দাবি জানিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, বর্তমানে একাডেমিক সিলেবাসের বিকৃত ইতিহাস চর্চা করা হচ্ছে। এসব ইতিহাসের অবসান ঘটিয়ে প্রকৃত ইতিহাস তালিকাভুক্ত করতে হবে। রক্তাক্ত জুলাই বিপ্লবের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ পেয়েছে নতুন স্বাধীনতা। এই স্বাধীনতার ইতিহাসও বিশ্ববিদ্যালয় পাঠ্যভুক্ত করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের 'ল এন্ড ল্যান্ড' ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল কাফি বলেন, ইতিহাস যে কোনো জাতির আত্মপরিচয় ও ভবিষ্যৎ গঠনের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তাই ইতিহাস যেন নিরপেক্ষ, বহুমুখী ও প্রমাণনির্ভর হয় তা নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ। ফ্যাসিবাদী স্বৈরশাসক হাসিনা সরকারের প্রশাসন সিলেবাসে একপাক্ষিক, বিকৃত এবং রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত ইতিহাস অন্তর্ভুক্ত করেছিল যা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই বিপ্লব পরবর্তী সময়েও অনুসরণ করা হচ্ছে এটি শিক্ষার্থী এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ক্ষতিকর। একাডেমিক সিলেবাসের মধ্যে বিষয়বস্তুর নিরীক্ষা, ইতিহাসনির্ভরতা থাকা উচিত। তাই অতি দ্রুত দেশবরেণ্য শিক্ষাবিদ, ইতিহাসবিদ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতি-নির্ধারকদের সঠিক ইতিহাস বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। যাতে শিক্ষার্থীরা সঠিক ইতিহাসের শিক্ষা পায়।
এ বিষয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবির সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের পরবর্তীতে এখনো বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগগুলোতে পতিত ফ্যাসিবাদ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত বিকৃত ইতিহাস পড়ানো হচ্ছে। অনতিবিলম্বে সেসকল বিকৃত ইতিহাস ছুড়ে ফেলে নিরপেক্ষ ইতিহাস পাঠ্যসূচিভুক্ত করতে হবে। একই সাথে জুলাই বিপ্লবের বিস্তৃত ইতিহাস পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্তির জোর দাবি জানাচ্ছি। বিভাগগুলোর কমিটি অব কোর্সেস এর সভা করে অতিদ্রুত এটি বাস্তবায়ন করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দ্রুত বিষয়টি নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এয়াকুব আলী বলেন, পাঠ্যবইয়ের ইতিহাস পরিবর্তন করতে হলে বাংলাদেশ সরকার থেকে প্রজ্ঞাপন দিতে হবে। কেন এখনো স্বৈরাচারের তৈরী ইতিহাস পড়ানো হচ্ছে এ বিষয়ে সরকার চিঠি দিলে আমরা বাস্তবায়ন করব। এছাড়াও বিভাগ চাইলে তারা তাদের সিলেবাস পরিবর্তনের জন্য একাডেমিক কাউন্সিলে জানাতে পারে। তারপর সিন্ডিকেটে সে বিষয়ে অনুমোদন দেওয়া হবে।