ইবি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৭:২২ পিএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪ | আপডেট: ০২:১৯ এএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শেখ হাসিনা হলের সহকারী রেজিস্ট্রার আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ করেন হলটির আয়া (খণ্ডকালীন) মোছা. রোজিনা খাতুন। এ নিয়ে গত ১৯ ডিসেম্বর হলটির প্রভোস্ট বরাবর বিচার চেয়ে আবেদন করেছেন ভুক্তভোগী রোজিনা খাতুন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেন অভিযুক্ত সহকারী রেজিস্ট্রার আব্দুর রাজ্জাক।
ভুক্তভোগীর আবেদনপত্র সুত্রে, ২০১৪ সাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা হলে আয়া পদে খন্ডকালীন অর্থের বিনিময়ে কাজ করে আসছেন ভুক্তভোগী রোজিনা খাতুন। এরপর তার স্বামী মারা গেলে তিনি তার দুই মেয়েকে নিয়ে হলটিতে কাজ করেন। কাজ করার সময় হলটির সহকারী রেজিস্ট্রার আব্দুর রাজ্জাক বিভিন্ন ধরণের কু-প্রস্তাবসহ তার মেয়েদের সাথে অবৈধ মেলামেশা করার জন্য ভুক্তভোগীর বাড়িতে আসার প্রস্তাব দেয়। এই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আঃ রাজ্জাক ভুক্তভোগীকে কাজ থেকে বের করে দেওয়াসহ প্রাণনাশের হুমকি ধামকি দেয়। এছাড়াও বিভিন্ন সময় স্টাফদের কথায় কথায় ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়ার হুমকি দেন রাজ্জাক।
২০২১ সালে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে ভুক্তভোগীর ছোট মেয়েকে একা পেয়ে সহকারী রেজিষ্ট্রার আব্দুর রাজ্জাক তার শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে যৌন বাসনা পূরণ করার চেষ্টা করে। মেয়েটি কৌশলে পালিয়ে চলে এসে ভুক্তভোগীকে বিষয়টি জানান। কিন্তু সহকারী রেজিষ্ট্রার আঃ রাজ্জাক প্রভাবশালী ব্যক্তি হওয়ায় ভয়ে কোন রূপ প্রতিবাদ না করে বিষয়টি গোপন রাখেন রোজিনা খাতুন। এসব ঘটনার পর তিনি তার মেয়েদের নিয়ে কুষ্টিয়াতে বসবাস করতে শুরু করেন। পরবর্তীতে গত ১১ ডিসেম্বর দুপুরে প্রতিদিনের ন্যায় দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে কাজ করার সময় সহকারী রেজিষ্ট্রার আব্দুর রাজ্জাক পূর্বের ন্যায় পুনরায় সুযোগ পেয়ে ভুক্তভোগীর সাথে অবৈধ মেলামেশা করার জন্য কু প্রস্তাব দিয়ে যৌন হয়রানি করে। কৌশলে তার কবল থেকে বের হয়ে আসেন ভুক্তভোগী রোজিনা খাতুন।
ভুক্তভোগী রোজিনা খাতুন বলেন, 'দীর্ঘদিন থেকে সহকারী রেজিস্ট্রার আব্দুর রাজ্জাক আমাকে ও আমার মেয়েদের যৌন হয়রানি করে আসছে। এতদিন ভয়ে মুখ খুলিনি। আমার ও আমার পরিবারের সব সময় আতঙ্কে দিন কাটছে। আমি এই যৌন হয়রানির বিচার চাই।'
অভিযুক্ত সহকারী রেজিস্ট্রার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, 'এসব অভিযোগ মিথ্যা এবং বানোয়াট। আমি দীর্ঘদিন থেকে শেখ হাসিনা হলে কাজ করছি। কোনদিন কারো সাথে খারাপ আচরণ করিনি। আমাকে হেনস্তা করার জন্য এই সব বানোয়াট অভিযোগ দেওয়া হচ্ছে।'
এদিকে শেখ হাসিনা হল প্রভোস্টকে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।