নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি কার্যক্রম চালুর দাবিতে ইবিতে মানববন্ধন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৩৩ পিএম, ৯ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪ | আপডেট: ০১:০৩ এএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি কার্যক্রম চালু করার দাবিতে মানববন্ধন করেছে ছাত্র ইউনিয়ন ইবি সংসদ।
আজ সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে মানববন্ধন করে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। পরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা।
স্মারকলিপি সূত্রে, ভর্তিচ্ছুদের ভোগান্তি লাঘবের লক্ষ্যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বিগত ৪ বছর গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাসময়ে আসন পূর্ণ করে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু না হওয়াসহ নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মান ক্রমাগত নিম্নগামী বলে শিক্ষক শিক্ষার্থীসহ সর্বমহলে প্রতীয়মান হচ্ছে। গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতির সীমাবদ্ধতাগুলো অদ্যবধি নিরসন হয়নি। এতে দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ হারাবে ও ক্ষতিগ্রস্থ হবে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষা কার্যক্রম। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান সম্মুন্নত রাখতে, সেশনজটমুক্ত উচ্চশিক্ষা নিশ্চিতকরণ ও স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখে সঠিক সময়ে একাডেমিক সেশন শুরু করার প্রত্যয়ে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ নিজস্ব প্রক্রিয়ায় ২০২৪-২৫ সালের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন করার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছে।
মানববন্ধনে সংগঠনটির সভাপতি মাহমুদুল হাসান বলেন, গুচ্ছ পদ্ধতি পরীক্ষামূলক ভাবে চালু করা হলেও এই পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের আশা পূরণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তির কার্যক্রমের ফলে শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দের সাবজেক্টে ভর্তি হতে পারে না। ইবির কিছু বিভাগ রয়েছে তারা আলাদা মূল্যায়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি নিলে অন্য বিভাগ গুলো কেন বঞ্চিত হবে। তাই আমরা চাই, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই পদ্ধতি থেকে বের হয়ে এসে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি কার্যক্রম শুরু করা হোক। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে এ বিষয়ে যদি দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ না নেয়া হয় তবে আমরা কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবো।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, গুচ্ছ একটি কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে যারা অংশগ্রহন করেছে সবাই গুচ্ছে থাকতে সম্মত হয়েছে। তবে আমরা এই দাবিকে সম্মান করি। আমি এ দাবিগুলো কেন্দ্রে পাঠাবো। শিক্ষার্থীদের দাবি তাদের সামনে তুলে ধরবো।