দেড় বছর বন্ধ ইবির ক্যাফেটেরিয়া, দোকান-ডাইনিংয়ে ছুটছে শিক্ষার্থীরা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৫০ পিএম, ১৮ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪ | আপডেট: ০২:৩৬ এএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া প্রায় দেড় বছরের অধিক সময় বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। ফলে বাধ্য হয়ে শিক্ষার্থীদের খাবারের জন্য হোটেল ও হল ডাইনিংয়ে ছুটতে হচ্ছে। এদিকে দোকানগুলোতে খাবারের উচ্চমূল্য ও হল ডাইনিংয়ের মানহীন খাবারের জন্য ভোগান্তিতে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা জানান, ক্যাম্পাস ও এর পার্শবর্তী হোটেলগুলোর তুলনায় কমমূল্যে এখানে ভালো খাবার পাওয়া যেত। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সকাল ও দুপুরের খাবার এখানে খেতেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এটি বন্ধ থাকায় বাইরে থেকে তুলনামূলক বেশি দামে খাবার খেতে হচ্ছে।
জানা যায়, ২০২৩ সালের মার্চে ক্যাফেটেরিয়া বন্ধ হয়ে যায়। এরপর দীর্ঘ পাঁচ মাস পর একই বছরের আগস্টে আবারো চালু হয় ক্যাফেটেরিয়াটি। চালু হওয়ার মাস না পেরোতেই আবারো বন্ধ হয়ে যায়। সেই থেকে এখনো বন্ধ আছে ক্যাফেটেরিয়াটি।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতি চর্চার প্রাণ কেন্দ্র শিক্ষক-শিক্ষার্থী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র (টিএসসিসি)। এখান থেকেই সাংবাদিক সংগঠন, ডিবেটিং সোসাইটি, রোভার স্কাউটসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। ক্যাফেটেরিয়াটি টিসএসসিসিতে অবস্থিত হওয়ায় এসবের সঙ্গে সম্পৃক্ত শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সকালের নাস্তা ও দুপুরের খাবারের জন্য ক্যাফেটেরিয়াই ছিল ভরসা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদ হাসান বলেন, বারবার ক্যাফেটেরিয়া চালুর দাবি জানানো হলেও কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ নেয়নি। ক্যাফেটেরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা সকলে জানি। তাই শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা এই ক্যাফেটেরিয়াটি কর্তৃপক্ষ যেন দ্রুত সংস্কার করে চালুর পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
এ বিষয়ে ভোক্তা অধিকার সংক্রান্ত তরুণদের সংগঠন কনজ্যুমার ইয়ুথ বাংলাদেশ (সিওয়াইবি) ইবি শাখার সভাপতি ত্বকি ওয়াসিফ বলেন, 'ক্যাফেটেরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। যেখানে শিক্ষার্থীদের আনাগোনা হবে, খাবার টেবিলে আড্ডা, আলোচনা ও কত স্মৃতি তৈরী হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু, করোনা পরবর্তী সময় থেকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়া দীর্ঘদিন বন্ধ অবস্থায় পড়ে আছে।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা বারবার দাবি জানানোর পরেও এখন পর্যন্ত কোন কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। ক্যাফেটেরিয়া চালুর পাশাপাশি সেখানে যাতে স্বাস্থ্য সম্মত খাদ্যের পরিবেশ ও শিক্ষার্থী বান্ধব সুলভ মূল্য নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি।'
ক্যাফেটেরিয়াটি চালুর বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসি পরিচালক অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়া দ্রুত চালু করার জন্য ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছি। তবে ক্যাফেটেরিয়া দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় সেখানকার বর্তমান অবস্থা নাজেহাল। অনেক সংস্কারের প্রয়োজন আছে, সেগুলো চলমান। সংস্কারের কাজ শেষ হলে খুব শীগ্রই চালু করা হবে।'