জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে খালেদা জিয়ার নাম ফলক পুনঃস্থাপন করা হবে : উপাচার্য
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:১৬ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর,
বুধবার,২০২৪ | আপডেট: ১১:১৩ পিএম, ১৭ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেছেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। এখন তার নামফলকও নাই। সেগুলো পুন:স্থাপন হবে। এসব নিয়ে আমরা কাজ করছি। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু বিষয় সংস্কার করা হবে।
আজ বুধবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কার আন্দোলনের বিভিন্ন ব্যাচ ও বিভাগ প্রতিনিধিদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
উপাচার্য বলেন, ব্যক্তিগতভাবে যারা স্বৈরাচারের হয়ে প্রত্যক্ষ কাজ করেছে, তাদেরকে উৎসাহিত করেছে তাদের আমি ক্যাম্পাসে দেখতে চাই না। আমি এদের ভাইস-চ্যান্সেলর হতে চাই না। আমরা যারা দায়িত্বে আছি তারা আইনে বাধা। চাইলেও আমরা সবকিছু করতে পারি না। সবাইকে একসাথে চলতে হবে, স্বৈরাচারকে ঠেকাতে হবে এবং সবাই মিলে সফলতা অর্জন করতে হবে।
হল ও আবাসন সংকটের বিষয়ে উপাচার্য রেজাউল করিম বলেন, আমাদের হল নেই। এখানে ভিসি ভবনও নাই। আমি কোথায় থাকব তারও ঠিক নেই। আমি তো ক্যাম্পাসেই থাকতে চাই। কিন্ত এখানে থাকার জায়গা নাই। নতুন ক্যাম্পাসে টেম্পরারি থাকার ব্যবস্থা করা যায় কিনা সেটাও আমি ভাবছি। দশ হাজার শিক্ষার্থীর থাকার ব্যবস্থা করা সহজ কিছু নয়। যা ১৯ বছরে হয়নি তা এক মাসে হয়তো হবে না। তবে আমরা অগ্রগতি জানাবো। আমি তোমাদের ভিসি। আমরা সবাই মিলে সফল হবো।
দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের বিষয়ে উপাচার্য বলেন, আমি মাস্টার প্লান নিয়ে আলোচনা করেছি। কনসালট্যান্টের নিয়োগ দিয়ে সাথে সাথে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর হাতে হস্তান্তরের কাজ করা হবে। আমি ক্যাম্পাসের কাজের মেয়াদ নিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা ও সচিবের সঙ্গে দেখা করেছি।
এসময় ছাত্র সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে উপাচার্য বলেন, যাদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে, আমি বলেছি ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হবে না কিন্ত ছাত্ররাজনীতির কালচার চেঞ্জ হবে। লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি চলবে না। জকসু যতদ্রুত সম্ভব তত দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে। তাহলে আমাদের একটা স্পেসিফিক উইন্ডো হবে যেটা নিয়ে আমরা কাজ করতে পারব।
সমাবর্তনের বিষয়ে উপাচার্য বলেন, আমরা সবাই চাই সমাবর্তন হোক। আমি ভাবছি নেক্সট কনভোকেশন নতুন ক্যাম্পাসে করতে পারি কিনা। একটা সমাবর্তনের প্রস্ততি নিতেই এক বছর চলে যায়। ততদিনে গ্রাউন্ড ওয়ার্ক করতে পারলে ওখানেই করব। এ ছাড়া ধুপখোলা মাঠে আমাদের লিগ্যাল রাইট দেয়ার কথা আছে, দেয়া হলেই ওখানে আমাদের স্থায়ী কিছু করা হবে। লিগ্যালভাবে একবার যদি বসতে পারি তাইলে বাকিটা আমরা দেখে নেবো।
এসময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. শেখ গিয়াস উদ্দিন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. সাবিনা শারমিন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহা. তাজাম্মুল হক এবং পরিচালক (ছাত্রকল্যাণ) ড. কে. এ. এম. রিফাত হাসানসহ সহ বিভিন্ন বিভাগ ও ব্যাচ প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।