এইচএসসির ফল হতে পারে ৩১ জানুয়ারি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:০৮ এএম, ২৯ জানুয়ারী,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ০১:২২ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হতে পারে আগামী রবিবার (৩১ জানুয়ারি)। পরীক্ষা ছাড়া ফল ঘোষণার আইনি বাধা কেটে যাওয়ায় এ মাসের মধ্যে ফল ঘোষণার কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। রেওয়াজ অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর কাছে শিক্ষামন্ত্রী ফলাফল হন্তান্তরের পর আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশ করা হয়।
জানা গেছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে আগামী শনিবার (৩০ জানুয়ারি) বা রবিবার (৩১ জানুয়ারি) এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে রবিবার ফল প্রকাশ করা হতে পারে।
শিক্ষাবোর্ড সূত্র জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের কারণে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব না হওয়ায় এইচএসসির ফলাফল প্রস্তুত করা হয়েছে। শিক্ষাবোর্ডগুলোকে ফলাফল প্রকাশ ও সনদ বিতরণের ক্ষমতা দিয়ে মঙ্গলবার গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার। এর মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ পরামর্শক কমিটির সুপারিশ মোতাবেক নয়টি সাধারণ বোর্ডের সঙ্গে মাদরাসা এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডকে এ ক্ষমতা দেয় সরকার।
গেজেটে বলা হয়েছে চলমান বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে ২০২০ সালে অনুষ্ঠিতব্য উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা গ্রহণ করা সম্ভব না হওয়ায় এ সংক্রান্ত আইনগুলো সংশোধন করা হয়েছে। সংশোধিত আইনের ক্ষমতাবলে এ সংক্রান্ত গঠিত পরামর্শক কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে বোর্ডগুলোকে এ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড জানিয়েছে, ফলাফল প্রস্তুত আছে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পেলে ফলাফল প্রকাশের তারিখ চূড়ান্ত করা হবে। পরীক্ষা ছাড়া উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ করতে ‘ইন্টারমিডিয়েট অ্যান্ড সেকেন্ডারি এডুকেশন (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট-২০২১’ গেজেট আকারে জারি করে সরকার।
আইনগুলো সংশোধন হওয়ায় এখন বিশেষ পরিস্থিতি অতিমারী হওয়ার কারণে সরকার সময় নির্ধারণ কোনো অনিবার্য পরিস্থিতিতে কোনো পরীক্ষা গ্রহণ, ফল প্রকাশ এবং সনদ করা সম্ভব না হলে সরকার, সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপিত আদেশ দ্বারা কোনো বিশেষ বছরে শিক্ষার্থীদের জন্য পরীক্ষা ছাড়াই বা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা গ্রহণ করে মূল্যায়ন এবং সনদ প্রদানের জন্য নির্দেশাবলী জারি করতে পারবে।
গত বছরে ১১টি শিক্ষা বোর্ডের ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ জন শিক্ষার্থীর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল ওই বছরে ১ এপ্রিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে শুরু করলে ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেই ছুটি একাধিকবার বাড়িয়ে চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত করা হয়।