আশুলিয়ায় শিক্ষার্থীর স্টাম্পের পিটুনিতে শিক্ষকের মৃত্যু
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:১১ পিএম, ২৭ জুন,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০৩:৪৩ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
ইভটিজিংসহ নানা উশৃঙ্খলার কারণে শাসন করায় ঢাকায় আশুলিয়ায় উৎপল কুমার সরকার (৩৫) নামের এক কলেজ শিক্ষককে ক্রিকেট খেলার স্টাম্প দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে একই প্রতিষ্ঠানের এক শিক্ষার্থী।
আজ সোমবার (২৭ জুন) ভোর ৫ টার দিকে সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই শিক্ষক মারা যান।
এর আগে শনিবার দুপুরে আশুলিয়ার চিত্রশাইল এলাকার হাজী ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে ওই শিক্ষককে স্টাম্প দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে একই প্রতিষ্ঠানের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী আশরাফুল ইসলাম জিতু।
শিক্ষক উৎপল সরকার ওই প্রতিষ্ঠানের কলেজ শাখার রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক। তিনি ১০ বছর ধরে শিক্ষকতা করছেন ও শৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থানাধীন এঙ্গেলদানি গ্রামের মৃত অজিত সরকারের ছেলে।
অভিযুক্ত জিতু চিত্রশালাই এলাকার উজ্জ্বল হাজীর ছেলে। সে হাজী ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র।
কলেজের অধ্যক্ষ সাইফুল হাসান বলেন, ওইদিন স্কুলে মেয়ে শিক্ষার্থীদের ক্রিকেট খেলা চলছিল। উৎপল মাঠের একপাশে দাঁড়িয়ে খেলা দেখছিলেন। হঠাৎ জিতু এসে ক্রিকেট খেলার একটি স্টাম্প দিয়ে এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকে। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় নারী ও শিশু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিবির পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউতে) ভর্তি করা হয়। পরে সেখানেই ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
অধ্যক্ষ আরো বলেন, উৎপল স্কুলের শৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি ছিলেন। এ সুবাদে তিনি ছাত্রদের বিভিন্ন সময় আচরণগত সমস্যা নিয়ে কাউন্সেলিং করতেন। বিভিন্ন অপরাধের বিচারও করতেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পূর্ব ক্ষোভ থেকেই এ ঘটনা ঘটতে পারে।
উৎপলের বড় ভাই অসীম কুমার সরকার বলেন, মেয়েদের ইভটিজিংসহ নানা উচ্ছৃঙ্খল আচরণের কারণে শিক্ষার্থীদের শাসন করতো উৎপল। এ কারণেই ওই ছাত্র এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তাকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
এনাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ইনচার্জ ইউসুফ আলী ওই শিক্ষকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, লাশ হাসপাতালে রয়েছে। আশুলিয়া থানায় খবর দেয়া হয়েছে।
আশুলিয়া থানার এসআই এমদাদুল হক বলেন, এ ঘটনায় নিহতের ভাই মামলা করেছেন। অভিযুক্ত জিতুসহ অজ্ঞাত আরো কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। আমরা আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছি।