চুয়েটে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:২৯ পিএম, ১৪ জুন,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০৯:১৭ পিএম, ১৭ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) মঙ্গলবার (১৪ জুন) থেকে ৫ জুলাই পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
সেই সঙ্গে বিকাল ৫টার মধ্যে ছাত্রদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বুধবার (১৫ জুন) সকাল ১০টার মধ্যে ছাত্রীদের হলত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. ফারুক উজ জামান চৌধুরী জানান বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মাঝে গত কয়েক দিন ধরে চলা উত্তেজনাকর পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে উপাচার্যের সভাপতিত্বে এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এর আগে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুপক্ষের মধ্যে দফায় দফায় হামলা-সংঘর্ষে আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) ক্যাম্পাস। লাঠিসোঁটা, রামদা আর ইটপাটকেল নিয়ে ক্যাম্পাসে টহল দিচ্ছে দুই গ্রুপ। ছাত্রলীগের এক গ্রুপের হামলায় মারাত্মকভাবে জখম হয়েছেন দুই শিক্ষার্থী।
প্রায় তিন বছর আগে চুয়েটে নির্মিত শেখ রাসেল হলের নিয়ন্ত্রণ কারা নেবে- মূলত এটিকে ঘিরেই ও এই হলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই দুটি পক্ষ গত শনিবার মধ্যরাত থেকে নিজেদের মধ্যে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। দুপক্ষের এমন ঘটনায় আতঙ্কে পড়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পুরো ক্যাম্পাস। সংঘাতে অংশ নেওয়া এক গ্রুপ শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এর অনুসারী ও আরেকটি সাবেক মেয়র আ জ ম নাছিরের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।
শনিবার( ১১ জুন) রাতে চট্টগ্রাম শহরে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেন তার অনুসারী চুয়েট ছাত্রলীগের একটি অংশের নেতাকর্মীরা। অনুষ্ঠান শেষ হতে দেরি হওয়ায় চুয়েটের রাত ৯টার বাসটি ৩০ মিনিট দেরিতে ছাড়তে বলে তারা। তবে একই বাসে থাকা আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এর বিরোধিতা করেন। মূলত এই বিষয়টি নিয়েই বাগ্বিতণ্ডা থেকে তা একপর্যায়ে হামলা-মারামারিতে রূপ নেয়।