শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ, তদন্ত কমিটি গঠন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৪৭ পিএম, ১৮ মে,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০৩:৫৬ এএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলায় ইদিলপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের দিলীপ কুমার মন্ডল নামে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওই বিদ্যালয়েরই এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনার বিষয়ে ওই ছাত্রী ও তাঁর পরিবার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছে। এঘটনায় ওই শিক্ষককে বিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম থেকে অব্যহতি দেয়া হয়েছে। আর পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষক দিলীপ কুমার মন্ডল ইদিলপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের জীব বিজ্ঞানের শিক্ষক। সে গোসাইরহাট উপজেলার মাছুয়াখালি এলাকার বাসিন্দা।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মু. এমদাদ হোসাইন ও বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে শিক্ষক দিলীপ কুমার মন্ডল কুপ্রস্তাব দেয়। তাই ছাত্রী ও তাঁর পরিবার প্রধান শিক্ষক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছে। পরে একে একে আরও ৬জন ছাত্রী একই অভিযোগ করে ও তাদের শরীরে হাত দেয় বলেও তাঁরা অভিযোগ তোলে।
এ ঘটনায় পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ক্লাসসহ বিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম থেকে দিলীপকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। ওই কমিটিকে আগামী তিন দিনের মধ্যে (২০ মে) তাদের প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। কমিটিতে ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাওলানা শাহ আলম মিয়াকে প্রধান করে সহকারী শিক্ষক মো. আনোয়ারুল ইসলাম, ইসমত আরা বেগম, রতন কুমার চক্রবর্তী ও মো. কামাল পারভেজকে সদস্য করা হয়েছে।
ওই ছাত্রী বলেন, ওই শিক্ষক আমাকে প্রায়ই একা প্রাইভেট পড়তে যেতে বলেন। তিনি আমাকে সোমবার (১৬ মে) সোমবার দুপুরে তাঁর বাসায় একা প্রাইভেট পড়তে যেতে বলেন। আমি অনাগ্রহ প্রকাশ করলে তিনি জোর প্রয়োগ করেন। পরে আমি আমার পরিবারকে ঘটনাটি খুলে বলি।
ওই স্কুলের একাধিক ছাত্রীরা বলেন, দিলীপ কুমার স্যার আমাদের কুপ্রস্তাব দেয় এবং শাসনের ছলে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় স্পর্শ করে। আমরা এরকম স্যার চাই না।
এ ঘটনার পর থেকে শিক্ষক দিলীপ কুমার মন্ডল পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তার মোবাইলে একাধিক কল দিলে রিসিভ না করায় তাঁর সঙ্গে কথা বলা যায়নি।
এ ব্যাপারে গোসাইরহাট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা সুজন দাস গুপ্ত বলেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পেলেই এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।