ষষ্ঠ সেমিস্টার না যেতেই পরিচয়পত্রের মেয়াদ শেষ : কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:১৯ এএম, ১৫ জানুয়ারী,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ০১:৩৮ এএম, ২৫ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের আট সেমিস্টারের জন্য দেয়া পরিচয়পত্রের মেয়াদ ছয় সেমিস্টার না যেতেই শেষ হয়ে গেছে। এতে করে ব্যাংক একাউন্ট খোলাসহ বিভিন্ন স্থানে নিজেদের পরিচয় নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়ছেন তারা। শিক্ষার্থীদের দাবি, স্নাতক শেষ পর্যন্ত যেন তাদের পরিচয়পত্র নবায়ন করা হয়।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির তিন মাসের মধ্যেই পরিচয়পত্র পাওয়ার কথা থাকলেও শিক্ষার্থীরা সাধারণত প্রথম সেমিস্টারের চূড়ান্ত পরীক্ষার ফর্ম পূরণের আগে পরিচয়পত্র সংগ্রহ করতে পারেন না। এ সময় শিক্ষার্থীরা জনতা ব্যাংকের কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখায় ১০০ টাকা পরিশোধের ব্যাংক রসিদ সংশ্লিষ্ট হলে জমা দেয়ার পরে প্রাধ্যক্ষের স্বাক্ষর সম্বলিত পরিচয়পত্র হাতে পায়। চার বছরের মাঝেই শিক্ষার্থীদের স্নাতক শেষ হবে ধরে হাতে লেখা এ পরিচয়পত্রের মেয়াদ প্রদানকালীন বছরসহ চার বছর দেয়া হয়। তবে চার বছর মেয়াদি স্নাতকের ৩য় বর্ষ শেষ না হলেও পরিচয়পত্রের উল্টোদিকে উল্লেখিত এ মেয়াদ গেল বছরের ৩১ ডিসেম্বরেই শেষ হয়ে গিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের। এতে বিভিন্ন জায়গায় মেয়াদোত্তীর্ণ এ পরিচয়পত্র দেখিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতার শিকার হচ্ছেন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. তাহিরুল ইসলাম মিরাজ ক্ষোভ প্রকাশ করে স্টাটাসে বলেন, অনার্স শেষ হতে এখনো বছরখানেক বাকি। এত আগে স্টুডেন্ট আইডেন্টিটি কার্ডের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় কোথাও গিয়ে পরিচয় দেয়াটা মুশকিল হয়ে গেছে। এদিকে প্রসাশনের কোনো ভ্রুক্ষেপই নেই। এটা প্রসাশনের কেমন রীতিসিদ্ধ ব্যাপার?
১১তম ব্যাচের আরেক শিক্ষার্থী গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ৩য় বর্ষের রবিউল ইসলাম বলেন, আমি ব্যাংকে গিয়েছি স্টুডেন্ট একাউন্ট খুলতে। পরিচয়পত্রের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় আমি একাউন্ট খুলতে পারিনি। অথচ আমার স্নাতক শেষ হতে এখনো প্রায় দেড় বছর বাকি। প্রসাশনের অবশ্যই শিক্ষার্থীদের পরিচয়পত্র নবায়ন করা দরকার।
এ ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ মো. জিয়া উদ্দিন বলেন, শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করে পরিচয়পত্র নবায়নের আবেদন করলে আমরা অবশ্যই তাদের নতুন পরিচয়পত্র সরবরাহ করবো।
তবে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের প্রাধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ জুলহাস মিয়া বলেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, এটি সম্মিলিত বিষয় হওয়ায় এ ব্যাপারে আমি একক কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারি না। প্রভোস্ট কমিটির মিটিংয়ে আমরা এ ব্যাপারে কথা বলবো। তার আগে কোনো মন্তব্য করতে পারছি না।
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. আবু তাহের বলেন, করোনার কারণে এ সমস্যাটি সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি আমরা ভেবে দেখবো।