বর্ণাঢ্য আয়োজনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০৯ পিএম, ২৫ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪ | আপডেট: ১০:৪৫ পিএম, ২৫ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে ৪৬তম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) দিবস উদযাপন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলন, পায়রা ও বেলুন উড়ানো, কেক কাটা, বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছে।
আজ সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগ কেন্দ্রীয় ফুটবল মাঠে জড়ো হয়। পরে সেখানে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলন, পায়রা ও বেলুন উড়ানো এবং কেক কাটা হয়।
পরে সেখান থেকে তিন সহস্রাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। র্যালিটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বাংলা মঞ্চ প্রাঙ্গনে মিলিত হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসিতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. আলিনুর রহমানের সভাপতিত্ত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। আরো অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন থিওলজি এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী, আল-কুরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. নাছির উদ্দীন মিঝি ও প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেছেন, শহীদ জিয়াউর রহমান আধুনিক ও ইসলামিক শিক্ষার সমন্বয় করে উন্নত শিক্ষার প্রসারে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। চারটি বিভাগ নিয়ে শুরু হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়টিতে এখন ৩৬ বিভাগ রয়েছে। হাটিহাটি পা পা করে ৪৬ বছরে পদার্পণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। তবে প্রতিষ্ঠার ৪৬ বছরে বিশ্ববিদ্যালয় তার লক্ষ্য-উদ্দেশ্য অর্জন করতে পারেনি।
উপাচার্য আরো বলেন, আমার কাছে উপাচার্য পদ নয় বিশ্ববিদ্যালয়ই মূল্যবান। আমি নিজেকে উপাচার্য নয় সেবক মনে করতে চাই না। আমি মনে করি, এই সুযোগ আমাকে জুলাই আন্দোলন করে দিয়েছে। তাই আন্দোলনের স্পিরিট ধারণ করে শহীদের রক্তের ঋণের পরিশোধের জন্য কাজ যাব।