চতুর্থ দিনের মতো চলছে শাবিপ্রবির আন্দোলন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৫৫ পিএম, ১৬ জানুয়ারী,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০৭:১২ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
হল প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগসহ তিনদফা দাবি আদায়ে চতুর্থ দিনের মতো আন্দোলন কর্মসূচী পালন করছেন সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের শিক্ষার্থীরা।
আজ রবিবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল থেকে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্ত্বর এলাকায় অবস্থান গ্রহণ করেন শিক্ষার্থীরা। এতে বিশ্ববিদ্যালয়গামী সকল পরিবহন প্রবেশে বিঘ্ন ঘটছে।
এর আগে শনিবার (১৫ জানুয়ারি) তৃতীয় দিন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।
শনিবার সন্ধ্যা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শতাধিক ছাত্রী। তাদের সাথে সংহতি প্রকাশ করে কিছু ছাত্রও অংশ নেন। অবরোধের ফলে রাস্তার উভয়দিকে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীসূত্রে জানা যায়, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ চলাকালে একটি অ্যাম্বুলেন্স যেতে চাইলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বাধা দেন। এসময় ছাত্রলীগ কর্মীরা অ্যাম্বুলেন্সটি পার করে দিতে চাইলে শিক্ষার্থীদের সাথে বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। পরে আন্দোলনে অংশ নেওয়া ৫ থেকে ৬ জন ছাত্রকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সন্ধ্যায় গোলচত্বরে তারা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান নেন। এসময় ছাত্রলীগের ৩০ থেকে ৪০ জন নেতা-কর্মী এসে গোলচত্বর এলাকায় অবস্থান নেন। তারা ছাত্রীদের হলে ফিরে যাওয়ার জন্য হুমকি দিতে থাকেন। এসময় ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করে। এতে শাহারিয়ার আবেদীন, মাইনুল ইসলাম রাশু, ইয়াসির সরকার, রুপেল চাকমা, নাফিস হাসান ও অন্তিক আহত হয়েছেন বলে দাবি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের।
হামলার সময় ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক জহীর উদ্দীন আহমেদ ও প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. আলমগীর কবিরের হস্তক্ষেপে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সরে যায় বলে জানা গেছে।
এ ঘটনার পরেও শিক্ষার্থীরা ফের সংঘটিত হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতারা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ছাত্রলীগ নেতা বলেন, ঘটনার সময় ছাত্রলীগের কেউ ছিল না। আমরা শুনেছি অ্যাম্বুলেন্স যেতে না দেওয়ায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে৷ চিৎকার চেঁচামেচি শুনে আমাদের নেতা-কর্মীরা গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। এখন তাদের কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে চলছে।