স্বামীসহ ববি শিক্ষার্থীকে চড়-থাপ্পড়, সড়ক অবরোধ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:১৮ পিএম, ১২ জানুয়ারী,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০৯:০৩ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
বহিরাগত দ্বারা শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনায় সরগরম হয়ে উঠেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি)। অভিযুক্তদের দ্রুত বিচারের আওতায় না আনলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার (১১ই জানুয়ারি) বিকালে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্ট্যাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী আলম তাজ আক্তার সায়মা (ছদ্মনাম) তার স্বামী সোহাগ হাসানের সাথে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় ঘুরতে যান। দুজন কথা বলার কিছু সময় পর স্থানীয় চর আইচা গ্রামের ফারুক হাওলাদারের ছেলে জাহিদ হাসান জয় আধিপত্য দেখিয়ে ওই শিক্ষার্থীকে ওখানে যাবার কারণ জানতে চান।
কথা কাটাকাটি এক পর্যায়ে ওই যুবক বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থীকে চড় মারেন এবং যার নেতৃত্ব দেন স্থানীয় ইউপি সদস্য লিটন ও তার সহযোগীরা।
ঘটনা টের পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তারা পিছু হটতে বাধ্য হন। পরবর্তীতে ঘটনা জানাজানি হলে রাত সাড়ে ৭টায় শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্যের বাড়িতে ইট পাটকেল ছুড়ে এবং কিছু সময়ের জন্য মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে বুধবার (১২ই জানুয়ারি) সকাল ১০টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন থেকে সরে আসেন।
ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এ বিষয়ে বিক্ষুব্ধ বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী তুষার বলেন, এ ধরনের ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন নয়। এর আগেও বহিরাগত দ্বারা শিক্ষার্থী লাঞ্ছিতের ঘটনা ঘটেছে। তাই এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না হয় তার দাবিতে আমরা একত্রিত হয়েছি।
অন্যদিকে স্থানীয় ইউপি সদস্য লিটন হাওলাদারের প্রতিবেশীরা জানান, শিক্ষার্থীরা এসে আমাদের মেম্বারের ঘর-বাড়ি ভাংচুর করে গিয়েছেন।
তবে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার মোঃ আশরাফ ভূঞা জানান, আমরা জানতে পারি (মঙ্গলবার) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ব্রিজের নিচের এলাকায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে।
যেহেতু জায়গাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছাকাছি তাই ওই শিক্ষার্থীরা ওই দিকে যেতেই পারে। কোনোভাবেই বহিরাগত কিংবা অন্য কারো রাইট নেই তার গায়ে হাত তোলার। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের পুলিশ সদস্যরা কাজ করছেন। আশা করি দ্রুতই তাকে আইনের আওতায় আনতে পারবো।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. খোরশেদ আলম এ বিষয়ে বলেন, বিষয়টি আমরাও দ্রুত সমাধান করার চেষ্টা করছি। যেহেতু আমাদের শিক্ষার্থী লাঞ্ছিত হয়েছি তাই এটিকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই।