এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে
নিবন্ধন ছাড়াই টিকা পাবে শিক্ষার্থীরা - শিক্ষামন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:০৪ এএম, ১১ জানুয়ারী,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০১:৩৫ এএম, ১১ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাসের টিকা দেয়ার ক্ষেত্রে আর নিবন্ধন লাগবে না। এখন থেকে শিক্ষার্থীরা তাদের নিজেদের পরিচয়ের প্রমাণ দিলেই টিকা পাবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
আজ সোমবার সচিবালয়ে ব্রিফিংকালে এ তথ্য জানান তিনি। তিনি বলেন, এখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করব না, যেভাবে সীমিত পরিসরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো চলছিল; সেভাবেই চলবে। ১২ জানুয়ারির মধ্যে যারা এক ডোজ টিকা দিয়েছে তারা ক্লাসে আসবে, বাকিরা অনলাইনে ক্লাস করবে আর অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেবে। সবার অন্তত এক ডোজ টিকা নেয়া হলে তারপর থেকে তারা সশরীরে ক্লাস করতে পারবে।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী জানান, দেশে ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী মোট শিক্ষার্থী ১ কোটি ১৬ লাখ ২৩ হাজার ৩২২ জন। এর মধ্যে প্রথম ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে ৪৪ লাখ, দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হয়েছে ৪ লাখ ১৯ হাজার ৫৫৪ জনকে। মোট টিকা দেয়া হয়েছে ৪৮ লাখ ১৯ হাজার ৫৪৪ জনকে। প্রথম ডোজ বাকি আছে ৭৫ লাখ ৫৪ হাজার ৬০৬ জনের। ৩৯৭ উপজেলায় ১৫ জানুয়ারির মধ্যে, ৩ উপজেলায় ১৭ জানুয়ারি, ৫৬ উপজেলায় ২০ জানুয়ারি, ১৫ উপজেলায় ২২ জানুয়ারি, ৩৫ উপজেলায় ২৫ জানুয়ারি এবং ১১ উপজেলায় ৩১ জানুয়ারির মধ্যে টিকাদান সম্পন্ন করতে হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
২০২২ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে অনুষ্ঠিত হবে। তবে সব বিষয়ে এমন হবে কি না তা পরিস্থিতি অনুযায়ী বলা যাবে। সে অনুযায়ী পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি।
তিনি বলেন, আমরা পরীক্ষাগুলো (এসএসসি-এইচএসসি) নিতে চাই। সময়মতো হবে না এটা খুবই স্বাভাবিক। কারণ শিক্ষার্থীরা ঠিকমতো ক্লাস করতে পারেনি। আমরা একটা আভাস দিয়েছি বছরের মাঝামাঝি সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা নেয়ার। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে তারিখ নির্দিষ্ট করে বলতে পারছি না। যদি পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকে আশা করছি পরীক্ষার তারিখ দুই-তিন মাস আগে বলতে পারব। আর পরিস্থিতি স্বাভাবিক না থাকলে সময় পেছাবে। এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে শিক্ষা বোর্ড, শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তাই কেউ গুজবে কান দেবেন না।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকা প্রসঙ্গে ডা. দীপু মনি বলেন, আপাতত আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করছি না। আমরা এ মাসের মধ্যেই সব শিক্ষার্থীর টিকার প্রথম ডোজ সম্পন্ন করব। এটি কীভাবে করা যায় তা নিয়ে আগামীকাল আবার বৈঠক করব। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে পরামর্শক কমিটির সঙ্গে আগামী সপ্তাহে আবার বৈঠক করব। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে শিক্ষার্থীদের সশরীরে ক্লাসে পাঠদান চলছে এবং এটি ধারাবাহিকভাবে চলবে।
বুটেক্স শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বুটেক্স বন্ধের মতো পরিস্থিতি তৈরি হলে বন্ধ করে দেয়া হবে। শিক্ষার্থীরা এখন অনলাইন ক্লাসের দাবি জানাচ্ছেন, কিছুদিন আগে তারা সশরীরে ক্লাসের দাবি জানিয়েছেন। শিক্ষার্থীরা দাবি জানাতেই পারেন। তবে সে দাবি যৌক্তিক হতে হবে। আশা করছি, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী উভয় পক্ষই যৌক্তিক আচরণ করবেন।